‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’
গগনবিদারী শ্লোগানে উত্তাল
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের চত্বর।
প্রতিক্রিয়াশীলদের একশত চুয়াল্লিশ ধারা
ভাঙ্গতেই হবে, মায়ের প্রতি ভালোবাসা
আর বিশ্বাসের প্রতিভূ- ভাষার দাবীতে।


বাঙালিরা আজ সংঘবদ্ধ, চেতনবিদ্ধ-
বাঙ্গালি যুবক, কৃষক, ছাত্র, মুদি দোকানদার,
রিক্সাচালক, দরজি, কামার, মাছি মারা কেরানী;
সবাই একত্রিত, উজ্জীবিত, উন্মাতাল
রক্তে তাঁদের আগুনের তেজঃদীপ্ততা।
‘মন্ত্রের সাধন, নতুবা শরীর পতন’
এরূপ দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।


একজন - দশজন - শতজন - হাজার
ক্রমান্বয়ে বাড়ছে জনতা- এক জণসমুদ্র।
চেতনবিদ্ধ রক্ত কণায় জোর বাতাস লেগে
ঢেউ উঠছে জণসমুদ্রে- উত্তাল তরঙ্গ;
কে রুধবে এ জলোচ্ছ্বাস!
কী দিয়ে বাঁধবে প্রাণের জোয়ার!
মাটি থর থর, টালমাটাল, শ্লোগানমূখর।


হঠাৎ,
রক্ত চোখা হায়েনার চিৎকার।
তীব্র বুলেটের তপ্ত শিশা বিদ্ধ করে জণজোয়ার।
অজস্র কৃষ্ণচুড়া ছড়িয়ে পড়ে
কালো রাস্তার উপর- অবিন্যস্ত।


হায় ভাষা! হায় মাতৃভাষা!!
যুবকের রক্ত, মায়ের অশ্রু একাকার,
ভালেবাসা আর চৈতণ্যের
সংগ্রামশীলতার কষ্ট স্বীকার ...