মানবী, তুমি আজ শ্মশান চুল্লি,
আমাকে প্রতিদিন হত্যা করে পোড়াচ্ছো ;
আমি মেঘ হতে চাই শারদীয় অন্তরীক্ষে
অথবা এক ঝাঁক বুনো হাঁস শীতের প্রাক্কালে;
তুমি টেনে নাও তোমার বুকের গহীনে,
ভালোবাসা-আদর-সোহাগে হত্যা করো আমায় ;
শবের গন্তব্য - শ্মশান চুল্লি।


মানবী, তুমি  এক ঝড়োয়াল রাত্রি,
আমাকে ছিন্ন-ভিন্ন করো তোমার তান্ডবতায়;
আমি চৈত্রের আকাশে জ্যোৎস্নার ঢেউয়ে হাটতে হাটতে
চান্নি পসর রাইতে সুনসান বৃক্ষ-বনে ঘুমুতে চাই;
তুমি অহংকারী ভঙ্গিমায় সামনে এসে দাঁড়াও;
আমাকে হত্যা করো তোমার উত্তঙ্গ তীব্রতায়,
আমি পড়ে থাকি চেতনবিদ্ধতার অবচেতনে।


মানবী, তুমি যেনো কীর্তিনাশা!
আমাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গড়ে যাও অবিরাম;
আমি শ্যামল কাব্যতায় আনি মুক্তিযোদ্ধার চেতনা,
ভীরু যুবতীর প্রেমানুভূতির নীল তীব্রতা;
তুমি দু’কুল ছাপিয়ে গ্রাস করো আমার চিন্তা-চেতন;
নিশ্চিহ্ন করে দাও ভালোবাসার সমস্ত আকর;
পড়ে থাকি নিটোল জলের ঘন অন্ধকারে।