[আসরের কবিদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি নতুন ধারার কবিতা লেখার জন্য।
ছন্দতাহীন কাব্য-কথায় কবিতা সাজানোর প্রয়াস। যাকে বলে- আধুনিক কবিতা।
তা- কি হয়েছে? ]
-----------------------------------------------


আমার জন্মের ফুটকি ফোঁটে যখন-
আমার বাবার বাবা- আমার দাদা সাহেব
জলোদ্ভব গম্ভীর স্বরে আযান দেনঃ
আমি যেন সুন্দর হই ফুলের মতোন;
আমি যেন বিস্তৃত হই আকাশের মতোন;
আমি যেন গভীর হই সমুদ্রের মতোন।
অন্দরে আমার বৃদ্ধা দিদিভাই প্রার্থনা করেন
তাঁর ভাঁজপড়া করাল হাত তুলে-
আমি যেন বিদগ্ধ মানুষের প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে
হেটে যেতে পারি বাদামী হরিণের বাচ্চার মতোন;
লক্ষ লক্ষ কুমারীর চেতনাপ্লুত মন-মন্দিরে
গোলাপের বৃক্ষ হতে পারি;
কুয়াশা ভেদ করে জ্বলে উঠতে পারি
তুষার শুভ্র পাল তোলা প্রেমময় চাঁদের মতোন।


আজ আমি লুকিয়ে বেড়াই ঋণগ্রস্থ কৃষকের ন্যায়;
কষ্টের লতায় পাতায় জড়ানো জীবনের বৃক্ষ;
সুন্দর চারায় জন্ম নেয় শাঁসহীন চিটা ধান;
নৌকা ও তীরের মাঝে আছড়ে পড়ে জমকালো অন্ধকার।


৭ চৈত্র, ১৪১৯।