এই ঘোলাটে চঞ্চল পৃথিবীর মাঝে
জাহান্নামের ছাদে হাঁটতে হাঁটতে এই আমি
আড়ষ্ট চোখে তাকাই ফুলেদের দিকে।
পৃথিবী ভরা শিশির নিঃশব্দে ঝরে যায়,
শিশিরের ফোঁটায় বিশ্বজুড়ে জাগে সংগ্রাম;
সাদা রজনীগন্ধ্যা সুকুমার ফুলেদের সামনে দাঁড়াই।
ইতস্তত করে আমার হাত- ভয়ে, লজ্জায়।
কিভাবে ছিঁড়ে  আনি যে সব ফুল সহজে ফোঁটে?


মহা বুদ্ধের মতো হাটু মুড়ে বসি ফুলেদের মুখোমুখি,
এক বুড়ো বুদ্ধের মতো গুন গুনিয়ে স্তোত্র পাঠ করি
মৌমাছির মতো; নির্বাক প্রজাপতি উড়ে যায়।
আমি চেয়ে থাকি ঝড়োয়াল মাটিতে বসে-
আমার কবিতার মতো নির্বাক প্রজাপতির দিকে।
উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায় ফুঁটে নীল মহাশ্বেতা,
চারিদিকে চক্রায়মান উড়ে যায় ফুলেদের সৌরভ,
শিশির পতনের শব্দে ভেঙ্গে যায় বুদ্ধের ধ্যান।


অজস্র ময়লা জমে আমার দু’হাতে, হৃদয়ে;
মেঘনার স্বচ্ছ জলে ধুয়েও ময়লা কাটে না।
বিশ্বজুড়ে সংগ্রামে আড়ষ্ট চোখে তাকাই
পৃথিবীর সুন্দর ও শুভ্র ফুলেদের দিকে অবিরাম।