পাগলী তোরে বক্ষে ধরে সাঁতার দেবো সিন্ধুতে,
বিশ্বটাকে তুলে নেবো চেতন মনের বিন্দুতে।
আকাশ তলে সাগর জলে নৃত‌্য হবে এক সাথে,
স্বপ্ন ছুঁড়ে দেবো দূরে কল্পনারই ঘোর রাতে।

সিন্ধু চুমে ইঁন্দু বুকে কলঙ্ক-দাগ রেখে যায়,
সমাজ ছেড়ে উঠবো ফেরে ঘোর প্রেমেরই জিঘাংসায়।
কল্পলোকের গল্পকথা মাড়িয়ে যাবো দুইজনে,
সূর্যটাকে উল্টে দেবো চিত্ত রাগের জোর টানে।

মজনু-হৃদয় মিললে কি হয় দেখবে মানুষ সব খানে,
চিত্ত চেতন মুক্তো রতন ছড়িয়ে যাবে জল-বানে।
অন্ধকারে বন্ধ করে হৃদয়খানি রাখিস না আর,
ছড়িয়ে দেবো পুড়িয়ে দেবো অনল জ্বেলে মিথ্যাচার!

লক্ষ্য পথের ঐক্য মতের জ্বালিয়ে দেবো শুভ্রালোক,
মর্ত্যলোকে আসতে হবে স্বর্গলোকের নীল-আলোক।
আয় চলে আয়, সত্য ছায়ায় ছড়িয়ে দিয়ে নিন্দা-জল,
বৃন্দাবনে সংগোপনে ছড়িয়ে দেবো অনর্গল।

পাগলী তোরে বক্ষে ধরে উড়ে যাবো আকাশ মাঝ,
অন্ধকারে জাগিয়ে দেবো এই জীবনের কারুকাজ।
চিত্ত মাঝে নিত্য বাজে করুণ গাঁথার বেহাগ সুর,
বুঝিস নারে ক্ষ্যেপাটারে! কাঁদছে বসে অচিনপুর।

কই লুকাবি, কই হারাবি, আমার আকাশ ছেড়ে তুই?
তোর লাগিয়া রাত জাগিয়া খাতায় চালাই কথার সুঁই।
আয় প্রাণ-তোলা, দরজা খোলা ঝড়ের রাতে ছুটে আয়!
আমার সকল বিমল ফসল তুলে দেবো তোরই নায়।

এই জগতে বিলোলাতে ছড়াবো যে সতেজ প্রাণ,
তোরই তরে রাখবো ধরে অরূপ সুরের বিমল গান।
জীবনানন্দের সুরঞ্জনা, সুনীল বাবুর বরুনা ওই!
কাব্যদেবী আমার কবি অভিমানে থাকবি কই?

আকাশ পাড়ে তারার ঘরে বাসরখানি বাঁধছি আজ,
মানিনাকো ধর্ম সমাজ, মাথায় ধরি' বিজলি-তাজ।
তুই যে আমার জলের আধার, আমি তোরই নীল তিমি,
রক্ত ধারা আকুল পারা দেখে যা মোর পাগলামি।