-আমি তো এসেছি জগতের মাঝে পুজিতে মানবী প্রাণ,
  ভগ্ন হৃদয়ে ঝংকারি ওঠে অরূপ সুরের গান।
  যতো সুন্দর এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে-
  সবকিছু ধরা পড়িয়াছে আজ মহা-মানবীর কাছে।


- অনেক বলেছো চাটুকার কবি! তুমিতো সহজ নও,
  কালিমার মাঝে রাংতা মিশিয়ে সোহাগী কথন কও।
  যতো বলি ওগো, হাত দিয়ে দেখো বুকেতে আগুন জ্বলে.
  সোহাগা বিহীন স্বর্ণ-হৃদয় উথলিয়া যায় গলে।


-তুমি হলে মম মহা-মহিয়সী উজ্জ্বলতর প্রভা!
  স্বর্গ হইতে নামিয়া এসেছো মনোহরা মনোলোভা।
  একটি জীবন বিসর্জন করি তোমার নামে, রাণী!
  পরভৃত সব করে কলরব, অন্যেরা কানাকানি।


- আজ হতে কবি, মুক্তি দিলেম ছিঁড়ে সব ভালোবাসা,
  বুঝবে সেদিন চলে গেলে দুরে, নহি আমি কাচা-কাঁসা।
  পরশ পাথর লুকিয়ে রেখেছি যতন করিয়া বুকে,
  আঁধার হরাতে ঝড়োয়াল রাতে রাখিতে পরম সুখে।


- তা'কি হয় রাণী! কবিতা বাখানি বন্ধ হইলো আজ,
  প্রয়োজন নেই অলস সময়ে কবিতা লেখার কাজ।
  আঁচলের তলে ঢেকে রেখো মোরে, সোহাগের জল ঢালো,
  কাব্য কথার উজ্জ্বল আলো হয়ে যাক ঘন কালো।