একটি চিঠিও হয়নি তোমায় লেখা,
প্রেমের আকর তুলে ধরে তাতে, মেয়ে!
যমুনার তীরে বালুকার মাঝে রেখা
তুলেছি গোপনে আনমনে শুধু চেয়ে।


এঁকে গেছি শুধু হিজলের ছবি, পোয়াতী ধানের জমি,
ভালোবাসা-নামে ফানুস জ্বেলেছি করেছি গোয়ার্তুমি।


শরীরে তোমার রাখিনিকো হাত মোহে,
চুম্বন করে তুলেনি অধরখানি;
তবুও ঝরেছো নির্জনে প্রত্যহে,
ভালোবাসা তুলে ধরিয়াছো অভিমানি!


দূরের রাগিনী শোনায়েছো তুমি বীণা শিঞ্জিত সুরে,
গহীন পিরিতি ঝংকারী উঠে দূর থেকে আরো দূরে।


একি ভালোবাসা! দুরন্ত সুরধ্বণি
অলোকের পাড়ে ছড়ায় দুঃখ গীতি!
কামহীন মোহ ছড়ায় যে ঝলকানি-
বিচ্ছেদে সুখ অপরূপ এক রীতি।


দূরের দেশেতে লুব্ধক রূপে জেগে রহো সারা রাত,
আমাদের প্রেম শিশিরের মতো নিরবে আনে প্রভাত।


মিলনের ছোঁয়া সুখ-খোরদের থাক,
পারিজাত যতো হোক না তাদের সব;
জীবন জন্ম হোক আজ নির্বাক-
দুঃখ মথিয়া করবো যে উৎসব।


১৪-০২-২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।