এখনো পাইনি খুঁজে জীবনের ভাস্বরতা,
অন্ধকার স্রোতস্বিনীর জলের ফল্গুধারায়
নিয়ত চলে স্মৃতির পান্ডুলিপি দূর পথে দ্রুততায়;
একদিন এ দেহেতে আগুন ছিলো- উত্তাপ ছড়ানো,
মননে ছিলো সূর্যের বিভা- বিকশিত চেতনার আলো,
বন্ধুর পথ অবলীলাক্রমে দাপিয়ে চলার দুরন্ত সাহস।


এসেছিলে তুমি, নারী, যৌবনদীপ্ত আঙ্গিনায়,
চোখে ছিলো বিদ্যুচ্ছটা, পরাবাস্তব জীবনের মূলমন্ত্র,
বিশ্বাসের ঘরে তোলপাড় করা ঝড় নিয়ে
অনন্তের সহযাত্রী, ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির প্রত্যয়;
কোথাও ছিলো না শঙ্কা, লজ্জা, ভঙ্গুর-প্রতীতি,
কোথাও ছিলো না অন্ধকার- বাঁধার দেয়াল,
ছিলো না পূর্ণিমার চাঁদ গিলে খাওয়ার কেতুর রাহু,
বেতস লতার প্রেম জড়িয়েছিলে চেতনবিদ্ধের মহীরুহ।


কাঁচের বাসনের মতো বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলো আজ,
সময়ের তীব্র আঘাত, চাহিদার করাল গ্রাস
ম্লান করে দিলো জীবনের ভাস্বরতা,
কী দুর্বোধ্য অনন্তকাল তুমি, নারী!


০২/০১/২০১৫।
মিরপুর, ঢাকা।