ACROSTIC  কবিতার সবগুলো পংক্তির আদ্যাক্ষর মিলে একটি নাম, অর্থবোধক শব্দ বা বাক্য তৈরি হয়। যতদুর জানা যায়, ACROSTIC POEM-এর সূত্রপাত হিব্রু ভাষায়। গঠনরীতির অভিনবত্ব ও মৌলিকতার কারনে পরবর্তীতে তা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যযুগে ইতালিতে এবং ষোড়শ শতাব্দীতে টমাস ওয়াট ও স্যার ফিলিপ সিডনির হাত ধরে ইংরেজি সাহিত্যে সূচিত ও বিবর্তিত হয় সনেট রূপে।  গত শতকে যার হাত ধরে সনেট কবিতা বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করে; সেই কবি মাইকেল মধুসূদনের হাত ধরেই ACROSTIC কবিতাও বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছিল ।
--------------------------------------------


প্রহেলিকা ভেদ করে পৃথিবীর বুকে
দীপিকা জ্বালাও কবি; কর্মে-ধর্মে-শ্রমে,
পরার্থে নিজের প্রাণ করে যাও দান
কুসুমিত পৃথিবীতে। এ দুর্যোগকালে
মানুষের প্রয়োজনে জানবাজি পণে
রত্নরূপ মহিমায় বিকশিত হও;
রাঘব-নন্দন প্রেমে উদ্ভাসিত করো
অয়োময় পৃথিবীকে আলোকসম্ভারে।  


(সুখের প্রত্যাশা করে পীড়িত, নিরীহ,
শোষিতেরা; ঘোলাচোখে পথ চেয়ে রয়;
ভগ্নকণ্ঠে গীত গায় তরঙ্গ-উদ্বেল
নদীর কূলেতে বসে। কবি, বলো, আর
কতোকাল নেত্র-লোরে ভাসাবো কপোল,
বিভীষিকাময় আতঙ্কের পৃথিবীতে?)


০১/০৫/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।