তাঁর আসিবার কথা ছিলো এ আষাঢ়ে
কদমের ফুল হাতে
পরম যতনে গেঁথে দিতে আমার বেণীতে।
তাঁর আসার আশায় অপেক্ষায় রই
বর্ষার ঝুমবৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গান গাই
ময়ূর পেখম তুলে নৃত্য করে যাই।
সখি, তোরা সবে বল্,
মনচোরা আমার আছে কি বৃন্দাবনে?
আজ যমুনার জল বড় উতরোল
কাজল চোখের কোণে;
সে কি আছে কদমের ডালে একেলা নির্জনে?
দগ্ধ পরান আমার করে হাহাকার
সকরুণ সুর বাজে বিরহিনীর কঙ্কনে;
সখি, বল্, মনচোরা আমার আছে কি বৃন্দাবনে?
কালার বাঁশির সুর অনন্ত মধুর
সে সুর কর্ণকুহরে এলে
এক হয়ে যায় সকাল-দুপুর
একাকার হয়ে যায় দিবস ও নিশি;
সখি, বল্, মনচোরা আমার এখনো আছে কি বসি?
তার হাসির ঝলকে
ছলকে ছলকে জেগে উঠে সকরুণ বেদন-বেহাগ
বিরহে দগ্ধ পরান কেঁদে কেঁদে যায়;
সখি, তার যাতনায় নিত্য পুড়ি
হয়ে যাই ধুলোবালিছাই!
সখি, বল্, কোথা গেলে পাবো আমি তারে,
কোন সে যমুনার পাড়ে?
অথবা কোন সে বৃন্দাবনে?
সখিলো, বল্ রাধিকা-পরান হরণকারী কোথায় সে?
বিদর্ভ নগরে চলেছে কি রুক্ষ্মীণি-অঙ্গনে?
পরান আমার ঝরঝর ঝরে আজি
আষাঢ় মেঘের ন্যায় অশ্রু ঝরে কালাচান লাগি'।
আজ ঘরেতে থেকেও চির-বিরহিণী মন
হয় ঘরত্যাগী বিবাগিনী।
সখিলো, এ আষাঢ়ে কদমের ফুল হাতে সে এলো কি?
পরানের গহীনে সে তো বসে আছে
তাই, এ আষাঢ়ে তার আসার আশায় আছি বসে।


১৬/০৬/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।