গ্রাম্য রাত্রির শরীরে শৈলী অন্বেষণে বের হই,
নবীন শিল্পীর মতো; অজানা অরণ্যে একা একা।
কুয়াশা মাখা হলুদ জ্যোৎস্নার মাঠে পাখি ডাকে-
অদ্ভুতর কণ্ঠস্বর, স্নিগ্ধ চরাচরে ভেসে যায়।
নিঃস্তব্ধ দুপুর রাত্রি, ঘন নির্জনতা শুয়ে আছে
বিহ্বল চেতন নিয়ে, অনন্ত বিস্ময়ে চেয়ে রই।
গ্রামের অতলে আজ নিশ্চিন্তে ঘুমায় কর্মক্লান্ত
কৃষক-কৃষাণীগণ, আগামী ভোরের স্বপ্নময়
দিনের প্রত্যাশা করে। উচ্চিংড়েদের একটানা সুর-
বেদনাবিধুর হয়ে রাতের গহীনে কেঁদে যায়।
যেন লুণ্ঠনের ভয়ে বিহ্বল ফোয়ারা ছুটে চলে
সাবলীল জ্যোৎস্নায়। হলুদ শর্ষের ক্ষেত হাসে
অসঙ্কোচ কিশোরীর উদ্দাম উল্লাসে। ওই দিকে
লাউডগা, পুঁইশাক আর কচি দুর্বাঘাষ শিশিরের
স্পর্শে পুলকিত হয়ে আনন্দহিল্লোলে ভেসে যায়।
মাঠে ফসলের রূপ মুমূর্ষু জীবনে বয়ে আনে
অনন্য উন্মাদনার অনন্ত বিস্ময়! এ সকল
নিখাদ চিত্র নবীন শিল্পীর তুলিতে ধরা পড়ে।


১১/০১/২০১৯
বদরপুর, চাঁদপুর।