কতো দূর সীমানা আমার, কতো দূর?
খোলা চোখ মেলে দেখি- বিশাল আকাশ,
শ্যামল বিস্তৃত-বন, অটল পাহাড়, উত্তুঙ্গ সমুদ্র।
তবু, বাঁধা পড়ে আছি গার্হস্থ গরাদে,
অনিবার্য নিয়তির টানে চৌখুপি জীবনে।
অন্তর্গত আগুনের ছাই মাঝে মাঝে পাথর বুনটে
প্রতিবাদ করে উঠে সকলের অগোচরে।
অবজ্ঞার অপবাদে উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে চলি,
ঝলসানো অনুভবে কারুকথার স্বপ্নের দিকে।
শ্রাবণ ধারাবর্ষণে ভাসাই জীবন,
আর, বুকের নিলয়ে স্বপ্নের বুনন চলে অহরহ।
প্রতিশ্রুতির এবং আলোর প্রলেপে
জীবনের ক্যানভাসে অন্তহীন ধূসরতা নিয়ে,
শুধু জোড়াতালি দিয়ে ছবি আঁকি সমঝোতার কৌশলে।
স্বপ্নগুলো শূন‌্যে ওড়ে প্রতারণার আকাশে;
পরাভূত যুবকের জোয়ান-সময়গুলো
অজান্তে ফতুর হয়ে যায় উৎসভাঙ্গা ঘরে।
ক্লান্ত কলমের নিবে শান্তনার সুর খুঁজি
এবং তোমার সরস বুকের ভেতরে, প্রিয়তি।
প্রণোদনার সম্পর্ক স্বপ্নের বিলোল চিত্রপট,
প্রত্নপ্রাণের নিঃস্বার্থ-দান তুমি করে যাও
প্রণয়গাথার সুরে; ঢেউ তোল স্বচ্ছ স্রোতস্বিনী,
তুমিই আমার এ জীবনের অলঙ্ঘনীয় সীমানা।


০১/০২/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।