কিশোরবেলার দিনগুলো যে ফিরবে নাতো আর,
আহা! কতোই প্রাণবন্ত, ছিলো চমৎকার!
শাপলা চরের বিশাল মাঠে সবুজ ফসল ক্ষেতে,
ফুল পাখি গান সুখ অফুরান থাকতো বুঝি মেতে।
নরম মাটির সোঁদাগন্ধ, শান্ত নদীর ঢেউ,
পরাণ কাড়া স্নিগ্ধতা সেই ভুলবে নাতো কেউ।
বন্ধু ছিলো গাছগাছালি, হাজার পাখির গান,
রাত্রি-দিবস সুখের মাঝে ডুবে থাকতো প্রাণ।
চৈতপূর্ণিমার নীল জোছনার প্লাবন এসে রাতে,
ভাসিয়ে নিতো কল্পদেশে আমায় তাদের সাথে।
তেপান্তরের মাঠে যখন বসতো আলোর মেলা,
আমরা তখন হাস্যমূখর চলতো অনেক খেলা।
চোরপলানি, গোল্লাছুট আর বৌ-ছি খেলার মজা,
কম্পুটারের স্ক্রিনে এখন পাওয়া নয়তো সোজা।
আষাঢ় মাসের নবীন জলে লাইডুবানির স্বাদ,
আনন্দতায় ঘুচিয়ে দিতো সকল অবসাদ।
সুখবাহী দিনগুলো আজ ভাবায় সারাদিন,
এক জীবনে ধরণীতে করছি কতোই ঋণ।
বুকের ভেতর কষ্ট বাড়ায় আনন্দের সেই স্মৃতি,
উদাস হয়ে একলা যে গাই বিষন্নতার গীতি।
অতীত স্মৃতি আনন্দে ও সুখের হোক না যত,
জানি, শুধু কষ্ট বাড়ায় স্মৃতি অবিরত।
আর কটা দিন বাকী আছে ভাবছি বসে বসে,
জীবন-সূর্য গিলবে কখন আঁধার নেমে এসে।


২৭/০১/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।