কালিসন্ধ্যার মতোন সর্বগ্রাসী প্রলয়ের ডঙ্কা
বাজিয়ে, একদা তুমি এসেছিলে জীবনে আমার।
সেই উজ্জ্বল দিনের বিস্ময়কর সমস্ত আলো
শুষে নিয়ে তুলে দিলে রাতের বিবরে;
তারপর, চলে গেলে, আরেক প্রত্যুষের সন্ধানে।
আজ অন্ধকারে পথ হাঁটি এ অনন্ত চরাচরে;
তিমির বিনাশী প্রত্যাশা বুকের ভেতরে লুকিয়ে রাখি;
অন্ধকার সুরঙ্গের শেষে হয়তোবা কোন একদিন
আলোকের দেখা পাবো এমন বিশ্বাসে।
হয়তোবা একদিন অনাবৃষ্টির ধূসর মাটি
সতেজে সজীব হবে জলের কোমল স্পর্শ পেয়ে;
উধাও পাখিরা ফিরে আসবে সলাজ অভিমান নিয়ে।
দুঃস্বপ্নের আঁধিয়াতে জন্ম নেবে ঘাস,
বিমুগ্ধকর সবুজ মোলায়েম কচি ঘাস!
ফাগুনের স্নিগ্ধ রোদে
চিকচিক করে উঠবে ঘাসের চোখ।


কোন এক নবীন আলোর খোঁজে চলে গেছো তুমি,
সুখের স্পর্শের খোঁজে চলে গেছো তুমি;
পুঞ্জিভূত অর্থের আকাশে সুখের পায়রা ওড়ে,
এ বিশ্বাস নিয়ে হারিয়ে গিয়েছো তুমি।
এখনো আমার সে-ই চিরন্তন প্রশ্ন,
পেয়েছো কি সুখ?
পেয়েছো কি সে-ই কাম্য সুখের পরশ?
দেখেছো কি সে-ই জ্যোতির্ময় আলোর রেখা?
যার খোঁজে তুমি হয়েছিলে গৃহত্যাগী, দেশান্তরি!
তোমাকে ভীষণভাবে ভালোবাসি প্রিয়!
ভালোবাসি বলেই, তোমার সুখ চাই।
তোমার সুখের জন্য জীবন দেবার পণ রাখি,
যুদ্ধে যেতে পারি, বিসর্জন দিতে পারি
এই মহাসাধনার মানুষ জীবন।
সবকিছু ত্যাগ করে নির্দ্বিধায় চলে যেতে পারি
অনন্ত গহীন অন্ধকারের ভেতর,
শুধু, তোমার সুখের জন্য।


১৭/০৩/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।