আমি সেই লেখনী হতে মুক্তি চাই
যা রসে ভরপুর রসদ হবে
তোষামোদের সর্বোচ্চ মর্যাদা গ্রহণ করবে


আমি সেই লেখনী লিখতে চাই না
যা কখনও কারো কাজে আসবে না
মর্মহীন বর্ণছটা হয়ে পড়ে থাকবে


আমি সেই লেখনীর শক্তি চাই
পাঠককে তার স্ব-মহিমায় আসীন করবে
চেতনার জগতকে সমৃদ্ধির উপমায় রূপান্তর করবে


আমি সেই লেখনী থেকে দূরে থাকতে চাই
নোংরামির ছাপা কপিতে স্থান হবে যার মান
জাগ্রত মহিয়সীর সোপানে ভূলুন্ঠিত প্রতিদান।


আমি সেই লেখনী সৃজন করতে চাই
যার পরতে পরতে শিক্ষা নিহিত থাকবে
পাঠক নিংড়ে নেবে স্ব-ইচ্ছায়।


আমি সেই লেখনীর সাধনা করতে চাই
যা আগে কখনও সৃজিত হয়নি
কোন কবির অনসুরণ থাকবে না।


আমি সেই লেখনী লিখতে চাই
লিখক হিসেবে অধিষ্টিত হওয়ার জন্য নয়
মানব সত্ত্বাকে প্রস্ফুটিত করবে।


আমি সেই লেখনী লিখতে চাই
পাঠক নিজেকে খুজে পাবে
সুখ/দু:খ ভুলে যেতে পারবে।