সখ্যতার করুণ জ্বলন দহিত প্রাণে আঘাত হানে
অনাকাঙ্খিত জল চোখের কোনে নিরবে ঝরে পড়ে
ভুলক্রমেও তোমার নজরে সীমাবদ্ধ হতে পারেনি সখা
বিধাতা করুণ খেলা, অহর্নিশি হয় তোমার আমার দেখা
জৈব তাড়নায় চলন্ত রেলের দু'ধারে তুমি-আমি একি সমান্তরালে
একে একে দু'টি কাল পাড়ি দিতে চলেছি, সুখে-দু:খে পাশাপাশি
প্রভাতের হিমেল হাওয়া দু'টি দেহে বহেছে কত সমসুরে
দুপুরের তাপদাহ সয়েছি দু'জনে নিরবে মাথার উপরে
সান্ধ্যবাতি দিয়েছি দু'জনা চোখাচোখি হয়ে বাহির ঘরে নয়তো অন্তরে
রাতের বিছানায় বোবাপ্রেমে মেতেছি দু'জনা নিশ্বাসের সাজে
কভু মেটেনি অতৃপ্ত মন তবুও একি সুতোর মাঝে গেঁথে রয়েছি
সখ্যতা বজায় রেখে আপন ভুবনে তোমার সিংহাসন পাকা-পোক্ত করেছি
উজাড় করে দিয়েছি নিজ স্বত্তা, অস্পৃশ্য ছায়ার মতো পেছনে বাঁধা
নতুন করে নতুন ভোরে নতুন ফুলের জন্ম দিয়েছি দু'জনে
ফুলগুলো পরিপক্ব হতে চলেছে, তুমি-আমি যৌবন হারিয়েছি
নিরবে হাজার রাত নির্ঘুম কেটে গেছে, কখনও জোছনায় আলোয়
কখনও অমাবশ্যার অন্ধকারে হাতে হাত রেখে, পায়ে পা মিলিয়ে
একাকার নিবিঢ় স্পর্শের ব্যকুল আর্তনাদের উন্মাদনায়
তবুও সখা, তোমার কোন অংশ হতে পারলাম না
সুখের কিঞ্চিত অংশ আমায় দিও না, আমি চাইবো না
দু:খের নোনা জলের বিন্দুমাত্র জল, দয়া-দাক্ষিণ্যের ছলে
একবার..................
সখ্যতার করুণ জ্বলনে দহিত প্রাণে ঢেলে দাও
বেদনার মিষ্টজলে জুড়িয়ে যাক, সখা তোমার পদ পৃষ্টে দলিত মন।