ক্ষণস্থায়ী ভাবনাগুলো যেমন আলোতে হারিয়ে যায়,
পৃথিবীতে অদৃশ্য বিদায়ের ঘন্টা অঘটনের মাঝে হায়,
ক্ষণিক আগের বাস্তবতা পলকেই স্মৃতি হয়ে যায়,
হাজারও রাত্রি নির্ঘুম হয়ে পড়ে থাকে চোখের পাতায়।


কেবলই কিছু মায়া কাঁদে কায়ার মাঝে অবলীলায়,
সম্ভাষণের আয়োজন পূর্ণতা পায় নগ্ন সম্ভোগলীলায়,
পড়শি পড়ে রয় আঁধারঘন দূরাশার তীক্ষ্ণ আলোয়
দূর-দূরো বাজে মাদল ঘৃণ্য কালো সামাজিকতায়।


এপারের নৈরাশা যেমন কাঁদে ওপারে রঙিন আশায়,
কত প্রাণ ঢেউয়ের তালে ভেসে যাল লোভ লালসায়,
রমণী মধুর বোবা নেশার বেসুরো নুপুরের বাজনায়,
রাত্রিমোহ যাতনা ভোরের আলোকিত ঘৃণাভরা ভালবাসায়।


চেঁটে নেয়া নির্গত রস তেঁতো কেন উন্মাদ সাধনায়,
দিবা কাটে নানা ভাবানায়, আছে কি শুদ্ধতার উপায়?
ঘরণী জল পিপাসার্ত সাধু সন্ন্যাসী মোহ মায়ায়,
আশীর্বাদে ঝুলিতে পচন ধরেছে কামনার লালায়।


উচ্ছিষ্ঠ মাংসহীন হাড়ের সন্ধানে অভুক্ত কুকুর হাঁপায়,
মানব আজ সঙ্গী তার, নির্লজ্জতার লেজহীন প্রতিযোগিতায়,
মানবী পাগলিনী খোলা অর্ধাঙ্গে, ভাবলেশহীন আদিমতায়,
মানব তার অনুসারী ক্ষণস্থায়ী সুখের গরল আশায়।