১)
ভালবাসা কি এতই সহজে-সুলভে পাওয়া যায়?
হাতের কাছে রসে ভরা হয়ে ধরা দিবে তোমায়,
ভালো লাগেনা; কিছুই ভালো লাগেনা আমার,
আশা নিয়ে আমি যা চাই তার রূপতো দেখিনা আর ||
যদিও বা এখনও তোমার রান্না করা খাবার খাই রাত-ভোর,
তোমার তিরস্কার পূর্ন উক্তি শুনতে শুনতে আজ আমি বোর-
তোরণ নির্মান করি নাকি তোমায় খুশি করা বর্ণমালার-
বাক্য ইমারতের নিশানসম তোষন করি; ভাবি দিন রাত ভোর||
তাহলেই যে তুমি; জানি আপ্লুত আগমনী আমার সাথে,
আমাকে নিষ্ঠাবান নাবিক বানাতে চাও সাগরে-
সংসার বন্দরে, আমি নিরুপায় হয়ে চলি পথ মাঠ পেরিয়ে-
ঘাটে ঘাটে আবডালে আড়ালে আফ্সোস করি নির্বিকার হয়ে ||
তবুও যদি শুধু তোমায় রাজী-খুশি করে বাচতাম
তাও কিন্তু না, সত্যিকারের মতো পক্ষপাতহীন বলো প্রিয়তম্,
তোমায় অগ্রাজ্যে উপায় আছে কি কোন ফেলার মত দম ?-
তিরস্কার বাণী বিনা বীণায় নাই কিছু বাকি ,তবু বলো কম ||
তোমারে সামলাতে সামলাতে চলে গেছে ছয়টি বছর,
শোকর করোনি কালে-ভদ্রে নিষ্চিন্তে ভেবে নিরব নিথর,
ভালই তো আছি এমনটি বলনি; যাতে আমি করতে পারি নির্ভর-
আগামী দিনের আশায় যেন চলতে পারি একত্রে স্বনির্ভর ||
২)
রূপকার হলে তুমি আমার ছন্দে, সুরে হলে একাকার-
আমার হৃদয়ে |
কল্পনার ভিন্নতার নিধার, আল্পনার বন্যতার আধার
তোমার স্বসময়ে |
বিধাতার হাতে গ্লানি আমার,গন্ধে-ধীরে কালে অপার,
কালের ধরায়ে |
উষ্ঞতার উম নীরাকারের আকার, মৌনতার যম সভ্য-সভ্যতার প্রকার,
মনের চিন্তাকাশে|
কত কবিতার অঙ্গের ধারার,কাব্য ছন্দে তুমি দিলে কতবার
আমায় ধরায়ে,
নিরাকার ভাব ভবে থাকার,বন্দে আর বান্দার রলে কথার
উপহার হয়ে,
ধরবার হইলে অধরা নূর কজনে ধরে দীলে শীর্ষ চূড়
তোমার কল্পছায়ে||  
৩)
সময় সময় নীরাকারের নূরী নড়ে নয়নে-
গোপন গোড়া সময় চয়নে |
শুন্য যখন শুন্যয়তন !
কোথায় তুমি এক মহাজন ?
কয়জন গোনে,কত শতজন?
পায় কি খোজ শুন্যের আয়তন?
তোমার খবর তুমি এক মহাজন ||
নেই কোন সুযোগ আর নীরাকার ভজনে,
স্বপন ঘেরা অজয় সাধনে,
বন্য আদিম ভাবান্তর ক্ষন-
কোথায় তুমি নূর নীরান্জ্ঞন?
যায় জান শানে তত নতজান|
হায় কেউ দেখেনা রোজ নূরেরই প্রয়োজন!
ভার কতক্ষন করবে বহন?
তোমার খবর তুমি এক মহাজন ||
৪)
রাত্রি দ্বিপ্রহর পেড়িয়ে যে ভোর-
তার আলোর রং,
তোমার আচঁল অলংকরন |
তুমি দৃষ্টিসম-দুর মন বাসনার দ্বোর,
ঘোর কেটে যাক! থাক সব আজ থাক|
জানিনা তারপরও লাগে ভলো নিদ্রাহীন ক্ষন-
মন প্রান যা চায় আজ তা না ফুরায়,
জানি অনিদ্রা অহেতুক যাত্রা শোর,
নিদ ঝেপে আসুক, থাক বাকি সব থাক|
আসেনা বলি ছাড়েনা তালহীন তোমার ঝাণ্ডা,
হাল ছাড়ার না যা-  
আজ তা না বানাও!
আমি লেস নিদ্রা হেতু অত্র বেশ,
শোর ফেটে যাক, ঢেকে যাক সব ফাক|
৫)
অধিকিন্তু তোমাদের চাপে পরিয়া, প্রেম বিষয়ান্তু আগুন্তুক পাঠকের প্রেমে পরিয়া-
তাহাদের পাটে এ জ্ঞানে বুঝিয়া, ক্ষান্ত হইতে চাই যে-
আসলে প্রেম কি!
ছন্দহীন আবেগ তারিত জড়িয়া বান অযত্নবীণ, স্বযত্নাধীন কারকের টানে বাধিয়া-
তোমাদের সাথে ধ্যানে মিলিয়া, শান্ত হইতে চাই-
স্বমূলে প্রেম কি !
আমুলে আসলে অশ্লিলতা পরিধান, জ্ঞানে না সামলায়ে-স্পর্শেমিলিয়া সাধকের শানে জানিয়া, তাহাদের পাছে মান এ জিজ্ঞিয়া, প্রান্ত ছুঁয়ে চাই
প্রামান্যে প্রেম কি !
দৃষ্টান্তই পরিচায়কের চাপে পরিয়া, প্রেম অজান্তেই পরাধীনান্তেই বিবেকের চিহেৃ সাজিয়া-
তোমাদের পাঠে এ চয়নে, অন্ত খুইয়ে চাই-
জানতে প্রেম কি!


আকাশে প্রকাশে তারার পানে চাহিয়া, প্রেম যা তা সে বৃন্দাবনে ভ্রমরের প্রশ্নে কৃষ্নঞ সাজিয়া, তদানিন্তের ফুলে সুগন্ধ গ্রানে মজিয়া মন্ত্র পড়ায়ে চাই-
অনন্যে প্রেম কি!


আরব্য রজনীর কাহিনী বেশে, রচিয়া অদম্য প্রচন্ড চাপে বুঝিয়া শেষে জোলেখা !
তোমাদের আলকের ধীনে ধাবিয়া, ভ্রান্ত ভেদিয়া চাই –
প্রমানে প্রেম কি
নৃত্যের নদীর ধারার রেশে নাচিয়া, চিত্তের বৃত্তের মাপে মাপিয়া যে সে অলেখা
তাহাদের সাধকের পানে চাহিয়া অন্তহীন ধরিয়া চাই
সধনে প্রেম কি
টান টানের অম্লান আবেশে মিশিয়া, মোহবান জয় গান লিখে আসিয়া কি সে দেখা
তারনার তনু মনে বাজিয়া, সীমাহীন জাচিয়া চাই –
রচনে প্রেম কি
উধাহরনে উপর এর পর অপর বলিয়া, বচনে মোচন হবে করিয়া কিসে বর্নন
কথামালারতব যেনবজিয়া, অনন্ত কাল বসিয়াও যদি চাই-
আসলে প্রেম কি জানা শেষ হবে না
প্রেম আসলে অনন্ত শাশ্যত
৬)
ছন্দ নাই; তবু বন্দনা বন্ধ হবেনা,
চাতক পাখির মত চেয়ে থাকা-
অচীন আজব আগামীর পথে,
যেখানে শুভ্র দিন অনুভব অবিচল-
তার সাধনার অন্ত হবেনা ||


আজ অনেক দিনের চেষ্টা এ-
তোমাকে বর্ননা বর্নিল বানে,
রাঙ্গীয়ে রাঙ্গা সুখ স্বপনে,
বোঝাতে বানী বর্ন স্নানে-
সাজাতে চাই যেন বুঝুক সবাই;
তুমি অপরূপ শতরূপ অনন্যা ||


কত দিন সহ্স্র সাল আবহমান-
ধুম ধাম নাম ধাম অনুমান,
কার এত ভাগ্য হল; সেইতো পেল সুনাম |
অবাক অচীন আগামী দিন,
কেউ বাকী থাকবেনারে সেইদিন-
কি হবেরে? কি অঝরে!ওরে বলনা ||


দন্ধ নাই; তবু চন্দ্রিমা চন্দ্র দেখেনা,
শতক আখির যত চেয়ে থাকা-
কঠিন তলব চালানীর পথে,
সেখানে তীব্র দিন পাবে সব অবিকল,
তার সে দিন কেউ থামাতে পারবেনা||
৭)
আমি আকারে নিরাকারের সুরকার হবার ভাবতামাশায় ভীম,
অধিকারের চরন মরনে গীতিকার ভাবার চিন্তা ঠান্ডায় হীম|
আমি আমিত্বকে ত্যাগে বিভর হীমাগার,
আর একবার স্বজ্ঞানে দাও, শুধু একবার-
ধার দেনার আনায় আনায় সরব করাও
নিরব নিরান্তর রবির-
উষ্ঞতার কোষাগার;
তুমি শুন্যতার অমর গভীর থেকে বর্ন জাল ফেল,
যতটুকু দৃষ্টি দিতে চাও
নিতে চাও না ফেরত | করাতের দাঁত-
আর তার যোগ্যতা কাটা কাঠ, চৌকাঠ জাত,
রাতারাতি বাতির আলো ছড়াবার-
অকুন্ঠক আমরন দ্রুতি আর ধার,
দুই এর ভয় এক হয়না,হয়না আপনার |
শুন্যতাকে ফেলেছি রেখে গভীরে
আলাদা কক্ষপথে, চেয়েছিলাম বর্নজালের
বেষ্টনীতে রাখতে ধরতে
সরাতে পারিনি, পারব কিনা কে জানে ?||
৮)
নূরে-নূর,নীরব অধর !
বারবার তার জাত খবর-
করে ঘাটিয়ে স্ব-রব কদর;
চূড়ে মন, বধির নিধির !
বরাবর তার সাত সদর-
নীড়ে কাটিয়ে; কবর নগর ||
তুমি ভাব ভবের খেলা,
লালন করা স্বপ্নের ভেলা,
নূরে-নূর; নিগুর লিলা ||


সুরে-সুর বিভব অধীর,
কারবার তার মাত গভীর-
ধরে হাটিয়ে; নীরব নীরবধি;
পারে কয়জন অধীর বিধির,
ধরা তার জাত জিগির -
ধারে হারিয়ে; বিভোর অধীর ?||
জানি সব ভাবের দোলা,
পালন করা সঙ্গীর মেলা,
সুরে সুর গভীর খেলা ||
৯)
শোন; শুভ্র বর্ণ ধ্বনি,মন কোন কিনারায়?
অবধারিত ধারায়, দৃশ্য যা দেখায়-
আকার ইঙ্গিতে মন জাগ্রত মোহনায় ||
কে দেখায় সত্য সততার আধার,
কে জাগায় সভ্য সরল প্রেম,
ক্ষনের গুণ্জনে নিরাকারের ভ্রমন,
ডুবায় কে করে অঘোর ঘোর ?||
তোমার আগমন, ইবাদত ক্ষন মন প্রান,
তেপান্তর পারের নিয়ম কানুন-
ধারন বরন অবিচল,
তবু তুমি থাকো অবিকল অনুরূপ অনুকুল||
তারে মনষ চক্ষু ভিক্ষু হয়ে,
জনম ভরে রয়ে সয়ে-
হারায় ও পেয়ে জনম বছর ধেয়ে,¬
প্রানচক্ষু পক্ষ হয়ে বোধ উদয় হৃদে ||


১০)
ইদানিং অন্তহীন যন্ত্রনাসম ভাবনা,বাসনা সীমাহীন জল্পনা,
অসীমেরে নিয়ে নিরন্তর-আল্পনার জাল আঁকি,
আকাঙ্খার আবেদনে ||
অধরা ধরবার নির্ভীক সাহস এসে যাওয়াটা নির্মান সহজ ভাব নাম মাত্র,
অনুমান  নির্ভর অঙ্কন পত্র-লিখবার উচ্চবিলাসে,
অন্ধকার আয়োজনে||
প্রতিদিন মন্ত্রবীণ বন্দনাসম বাজনা,লাজ না ভেবে আজ না হয়;
অধরারে বুঝে সমান্তর-কল্পনার পাল তুলি,
রাখার অংক রোদনে||
বারবার ধরে আর অচেনা দেশে যায়,সর্বনাম যা সহ সব মানপত্র-
অভিমান নেভার স্পন্দন মাত্র,চলবার পথ অন্তিম দেশে-
অস্বীকার করবে কোন জনে?||
নদী পথ দিন অন্তহীন সাথে সম থাকো না,স্বরূপেরে সেজে অনন্তর-
জল্পনার কল্পপুরীর,
শাঁখার শঙ্খ শোধনে ||


১১)
আমি কি অদ্ভুত আকাঙ্খায় ধেয়ে যাই
রাই ;তোমার ধ্যনে!
প্রানের আদন্ত ধিক্ ধিক্ ধাবিত ধ্বনি
পাই তোমার গুনে |
অনেক লালনের পর এ ধরনীর তল ,
পল পল করে বদলে যাবে,
তোমার চালে কালে কালে-
হালে ধরবে কে ?
আমি কি অযুত কোটিবার ভেবে যাই
নাই; তোমায় বিনে
জনমের উদম্ম চিন্তা কিন্চিত
১২)
তোমার আগমন মনের গোপন,
দোলার দোলন ক্ষনের সোপান-
পার হওয়া যপের স্বপন,
তুমি সবার আপন ||
ধ্যনে ক্ষনে যখন মন সঙ্গোপন,
আলোর ফুটন মন চোখে সপ্তরঙ-
অপার হওয়া এদেখার সাক্ষি কজন?
তুমি নিধার অসীম||
তোমায় খোজে কত কত জন,
মেলার মিলন-শত আয়োজন,
আধার হওয়া গুহার যপন-
জানি সবই তোমার গুনগান,
মনে প্রানে যবে তোমার আলাপন-
হৃদের কাঁপন আপন অনুঃক্ষন,
আঁখের ধাওয়া মন জ্বালাতন,
তোমার ভয়ে ম্লান ||
তুমি অদেখা রবে সর্বক্ষন,
তোমার দর্শন পাইল কয়জন?
অধরা হাওয়া ধোঁয়ার চলন,
তুমি তোমার মতন ||
? , সর্বভৌম ক্ষমতার মালিক
সন্মান দাতা, অপমান দাতা, তোমার সামনে শির অবনতকারী
তুমিই কর উন্নয়ন, শক্তিশালী তুমি পুর্ন স্বয়ংক্রিয়
অসীম অটুট তোমার ক্ষমতা সুস্হিত আর অসম ক্ষমতাদাতা
পরাক্রমশালী হয়ে কর প্রতিরোধ; তুমি মহা পরাক্রান্ত
প্রবল বিক্রমশালী জানি তুমি সর্বশ্রোতা এবং সাম্যক দ্রষ্টা
তুমিই স্রষ্টা আদি স্রষ্টা আমার আর আমাদের সবার উদ্ভাবন কর্তা
আকৃতিদাতা নমুনাবিহীন সৃষ্টিকারী জ্যোতিময় পথ প্রদর্শক সত্যদর্শি
একক জীবন দাতা এক এবং অদ্বিতীয় রিজিক দাতা ও তার সম্প্রসারনকারী তুমি
সবার আহার্য সংকোচনকারীও তুমি সর্ব উম্মুক্ত করে সংরক্ষনকারী-নিরাপত্তাবিধায়ক
শান্তিময় তুমি রক্ষক অধিপতি, অভিবাবক তুমি কর্মবিধায়ক
উদার মহা অনুভব দাতা, অভাবমুক্ত মুখাপেক্ষীহীন তুমি অভাবমোচনকারী
মানি কল্যান অকল্যানের মালিক তুমি নেকময় মৃত্যুদাতা-
স্বত্বাধিকার পুনঃসৃষ্টির,পুনঃউথ্থান আর একত্রিকরনের অধিকার শুধু তোমার
পর্যবেক্ষনে পুন্ক্ষানুপুন্ক্ষ হিসাবকারী, ন্যয়নিষ্ট মিমাংসাকারী ন্যয়পরায়নে গুনগ্রাহী
প্রেমময় বন্ধু তুমি অগ্রে রেখে পশ্চাদপদ করনেওয়ালা ক্ষমাকারী
সহিষ্ঞু ধৈর্যশীল শান্তিদাতা, পরম ক্ষমাশীল তওবা কবুলকারী ক্ষমাকারী অতি দয়ালু
দয়াময়ে সীমাহীন দয়ালু, পবিত্র তুমি পুর্নাঙ্গ মহিমাময়
সুমহান সর্বোচ্চ মর্যাদাবান, সুউচ্চের অধিকারী গৌরবময়,
অনাপেক্ষ একক তম মহান, সর্বপ্রসংসা ও বড়ত্বের অধিকার শুধু তোমার
প্রতিপালনের মাহত্বের অধিকারও তোমার, তুমি সর্বোচ্চ মর্যাদাবান


১৪)
তুমি রহম
বহুদিন লালন করা সাধন
পবন তোলা জয়গান
মৃত্যুক্ষন পর্যন্তন
তুমিই তো রহমান
বাধন তোমার অপরিসিম
কখন তোনার টান
আপন দোলা সুখস্নান
আজীবন সর্বক্ষন
তুমিই প্রানে বহমান  নয়ন চাহন
বহুজন কহন ধারা চলমান
কজন হেলা সর্ব দর্শন
অদৃশ্যমান অনন্তক্ষন
তুমিই তো অসীম
তুমি আসিম
অনন্তদিন আসন সারা জাগন
পালন পালা অনুধাবন
কোনক্ষন অসম্ভব অনুক্ষন
তুমি স্রষ্টা আপন আপন