আমি জন্মেই সুদর্শন,আমি ঈশ্বরের হাসি
কামনার করাতে হৃদয়ে আগরবাতি
সুগন্ধির শরীরে আনন্দের নৃত্যগীতি
আমি ঈশ্বরের পায়ের তলায় চন্দন পুঁথি।


আমি রমণীর হৃদয়ে প্রথম লাজুক হাসি
আমি স্বপ্নের তুড়িতে ছন্দে ছন্দে নাচি
আমি বেদনার বাঁ হাতে গলিত চাঁদের জোসনা
আমি তোমার হৃদয়ে রুদ্রাক্ষ নিত্য জপমালা।


আমি শ্রাবণের প্রথম বৃষ্টি নূপুরের শব্দ
মাতৃস্তনে প্রথম দুগ্ধ,অধিকার আজন্ম
আমি ধারালো খড়গে রক্তাক্ত কবিতা
তোমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে গভীর চুম্বন প্রিয়তা।


আমি ঝলমল রৌদ্রের সুমিষ্ট আভা
আমি তোমার মনে নিদ্রিত গভীরতা
আমি শীতের কাঁপন তোমার সুশ্রী আঙুলে
আমি নিশ্চিন্ত ঘুমে বিভোর তোমার সুগন্ধি চুলে।


আমি ঘাসের ঘ্রাণ বৃক্ষে সবুজের স্নান
শিউলি ভোর শিশিরে তোমার বানান
আমি মেঘের ফর্সা গাল পড়ন্ত বিকাল
প্রজাপতি ফড়িং চোখ নেশায় মাতাল।


আমি জন্মেই সুদর্শন,সুদর্শন চিরকাল
মাটির ফুলে জীবনীশক্তি শিকড় দুর্বার  
কিছুই ধ্বংস হয় না,পরিবর্তন হয় বারবার
তোমার আমার জন্ম,মনুষ্যত্ব,মানুষের
সময় ও কাল।