নিরাপদ ভেবে গৃহবাস প্রেম
নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে করেছি হৃদ্যতা
ভেবেছি শাকভাতে দু'জনার হয়ে যাবে
মাইনে বাঁচিয়ে কিনে আনবো
মাংসল ফল, চুলের ক্লিপ।
কখনো ভাবিনি তোমারই অনাদরে হব চুর্ণবিচুর্ণ
হুড়মুড় শব্দে ভেঙে পড়বে কম্পমান চিলে কোঠা


সর্প জিব নারে বিরাগী সবিতার মত
তার হেঁয়ালি মনের তর্জনী খোঁজে
নীল বর্ণ বেদনার অমাবস্যা
বুকের অঋজু চেরাগে ছোঁবল মারে
বিবস্র বিভীষিকা।
শিরদাঁড়া বেঁকে আসে আজো
ভাবিয়া তোমার চিবুকের সুন্দর
বোকা হৃদয় পাবে নাকি আর কোনো দিনও
করিতে রমণী সেবা।;
শিম্পাঞ্জির মত রবে কি সে নিভৃত
গহীন বনে, চিরকাল একা।


আমার মাথার করোটি পাবে শ্মশানে শোভা
লাগবে ইন্দ্রজালিকের প্রয়োজনে
সার জলহীন বৃক্ষটি বাঁচবে আর কত দিন
যদি অযত্ন অবহেলা জায়গা করে নেয় হৃৎপিণ্ডটি।


বন্ধক দেব না আর আমার প্রেম রাহুর করাতে
যতই আস তুমি রাংতা নিয়ে
ঝালাতে আমার ছিদ্রবুক।
সারানো যাবে কি বুকের বেদনা
কষ্টের নামই হয় যদি বিনাশী?
চিলে কোঠার চেরাগ তুমি
ভাবলেই মনে দুঃখ কোটি কোটি
নিভে আসে অন্ধকার
হারায় নক্ষত্রটি।


কবিতা : চিলে কোঠার চেরাগ
লেখক : অপূর্ব দাস