টাকা দিয়ে মানুষ পাওয়া যায়, প্রেম সে নয়
গণিকারা আজও শহরে তাই পথে পথে ভেসে রয়
টাকার গন্ধে নারী হাঁটে রাতে কালো কুকুরে লাড়ে লেজ
মানুষের ভেতরে অমানুষগুলো ধরে সাধুর ভেস


দেহের বয়স বাড়ার আগে শিশু শিখে নেয় কামসূত্র
শাড়ির চেয়ে কম গতরের দাম কয়েক টাকা মাত্র
গোত্র-ধর্ম বুঝে না দেহ, নারী সুন্দর হলেই হয়
কাচা দেহের গন্ধে বৃদ্ধর দ্রুত বীর্যপাতের ভয়
আফরিন হয় রাতে অঞ্জনা, রানু হয় ক্যাটরিনা
ধর্মের নামে মানুষ খুঁজে দেহে কামুক উন্মাদনা


দেহের জলে সাঁতার কাটে নামে বেনামে পুরুষ
নদী যেমন সব সয়ে নেয় নারীও নেয় সব দুষ
কার জেনো আজ বয়স বাড়ে মনে পরে না নাম
রক্তস্রাবে দূষিত পানি দেহে ধরেছে কাম
বালিকা হাসে বালকের পাশে খোলা থাকে বোতাম
ডাস্টবিনে শিশু পরে থাকে, কার জারজ সন্তান?


মুচকি হেসে কয় আমাকে পাগলি পল্লবী
গণিকা গুনলে কয়টা হবে কামসূত্র নদী!
দেহের মাঝে পাপ খুঁজিনা পাপ সে কোন জাত
গণিকার ঘরে পুরুষ গেলে ভোর হয়ে যায় রাত
তার গগনে গণিকা নাচে নদীতে নাচে সাপ
কার যেন মৃত্যু হলো গুনিতে গুনিতে পাপ!
পাপের বাড়ি কেউ খোঁজে না ভিক্ষায় খুঁজে সোয়াব
নিঃশ্বাসে বিষ থাকে না কোথাও মানুষ জন্মায় অভিশাপ
গণিকা হাসে খলখোলিয়ে নিতম্বে নাচে ঢেউ
এক মানুষের পাপের ভাগ হয় না অন্য কেউ


কামে পাপ পাপে মৃত্যু ভবে ভাবে কে আর
গণিকা এখন ফ্লাট বাড়িতে মদ খেয়ে করে চিৎকার
কার চিৎকার কে শুনে সুখ ভেসে যায় বানে
আমার কৃষক কান্না করে দেখে চিটা ধানে
অর্থ যদি থাকে তোমার চিন্তা কিসের মনে
দেশ বিদেশে সবখানেই  গণিকাদের পাবে
গগন থেকে আসেনি গণিকা জন্ম মানব কুলে
অভাবে,স্বভাবে হোক নয়তো কারো ভুলে
এখনো আছে, আগেও ছিল, থাকবে চিরকাল
বেশ্যার মাটি তাই দেবতার গায়ে করেছে ইন্দ্রজাল।


কবিতা : গগনে গণিকা নাচে
লেখক : অপূর্ব দাস