জ্ঞানের গহীনে যেতে পারিনি
তোমার গহীনে রয়েছি বধির
ওঝার মন্ত্রে তোমায় বান মেরেছি
আমার ভেতর ভৈরবে তুমি অস্থির।


পাশ কেটেছে মৃত্যু কতবার
তোমার হিংস্র ভাষণে কেঁপেছে হৃদয়স্থান
কালের কপালে মহাকাল ঘুমায়
বিনাশের বর্ণ তুমি মস্তিষ্কে কম্পমান।


শতপথ পেরিয়ে দেখেছি তোমার মুখ
সোহাগ পাইনি পরানে কভু
মনে দিয়েছো অসুখ
ঝাঁঝালো যন্ত্রনায় লেগেছে জখম হৃদে
সহজ হয়নি আজও তোমার মন  আছে কন্টক বিঁধে।


চেতনায় রেখেছো শাঁখা-পলা পরিহিত সুশোভিত হাত
ছড়িয়েছে বেদনা দেহের শিকড়ে শিকড়ে হয়েছে মলিন প্রভাত।


ধেয়ে আসে বুকের চাতালে তোমার বিঘ্ন প্রেমের ছবি
চেঁচিয়ে উঠে চৈতন্য আমার চোয়াল কামড়ায় মাটি
মৃত্তিকার অনুর্বরতায় প্রকৃতি মৃত প্রায়
জলের কণা ঝাঁপটে আসে চোখে মনে মন্দাকিনী অন্তরায়।