পুরুষ মানুষের শরীরের গন্ধ শুকাইলেও চেনা যায়। একবার ভালোবাসছিলো সেই- কবে! আবার বিদেশ গেল। পনেরো বছরে বয়সটা বাড়ছে ,তয় শরীরের গন্ধ মরে নাই।


সেই গন্ধ এখনো নাকে লেগে আছে
প্রথম যেদিন আমারে ভালোবাসলো মানুষটা,খোদার কসম, এমন গন্ধ আমি পাই নাই কোনোদিন। তবে জমিদার বাড়ির পিছনে একটা ফুল গাছ ছিল। সেই ফুলে কি যে গন্ধ,আহঃ! মনে হইল কয়েক যুগ আগে কোনো রাজকুমারীর সুগন্ধি বোতল। তয় উনার শরীরের গন্ধ একদমই আলাদা। কেমন যেন মাতাল মাতাল লাগে,হাসি পায়।


মানুষটা যখন বিদেশ আছিল
আন্ধার ঘরে কুপিবাতি যেমন জ্বলে
সেও জ্বলতো আমার ভিতরে প্রতিদিন
শিরা উপশিরায় মগজে মস্তিষ্কে
মানুষটার বয়স হইছে আর কুলায় না শরীর।
আমার এখনো কাঁচা যৌবন হলদি পাতার মত মসৃন শরীরের আগাগোড়া
মানুষটা কেন যে বিয়ে করলো অল্প বয়সি মাইয়া, খোদা জানে?
আমারে এখন সামলাইবো কে?
সাপে কামড় দিলে না হয় মইরা গেলাম, অমানুষে কামড়াইলে তো কলঙ্ক, সুন্দরের কলঙ্ক।
মাইয়া মাইনসের ইজ্জতই সম্পদ
ইজ্জত গেলে আর থাকে কি?
আসলে বেশি বয়সে বিয়া করা কোনো পুরুষ মানুষেরই ঠিক না।
ছাড়া কবুতরের মত জুড়া পাইলে মাইয়া মানুষ উইড়া যাইবো দূর আকাশে। কলঙ্ক, লাজ-লজ্জা কিছুই মনে থাকবো না। টাকা-পয়সায়ও আটকাইবো না সেই সময়। আর গন্ধ হারাই যাইবো আরেক গন্ধে। জানবোই না মানুষটা।