আমার ইচ্ছের রঙে আমি রাঙাই তারে-
উদ্দাম বুকের অনুভূতির তুলিতে আলতো;
সাজাই তারে সাধারণ মত ছড়িয়ে ফুলের পরাগ
আমি ছাড়া কেউ জানে না সাধ্বী মুখ উজ্জ্বল কত।


জ্যোতি আমার উজালা করে শূন্য উপত্যকা
খোঁপাচুলে স্বযত্নে গুঁজি বেলীফুলের মালা;
লজ্জায় হাসে আর দৌড়ে পালায়
পালকি করে কল্পনায় বসে খুলে জানালা।


তিলোত্তমা সে আমার বড্ড সখের
আমি থ হয়ে চেয়ে করি না টু-শব্দ আর,
কাজলের চোখে যেই জিজ্ঞেস করে দেখতে কেমন
ঠিক তখনই উপমা খুঁজতে হয় প্রাণের সঞ্চার।


হাত বাড়িয়ে দেয় চুড়ি পড়াতে
নীল-কালো-সবুজ কত রঙের চুড়ি;
মেহেদীর লালে দু'হাতে নাচে প্রজাপতি
খুব আদরে বাদর সেজে গিয়ে তার সঙ্গে উড়ি।


অস্বস্তি নিয়েও কাজল পড়ে
আয়নার প্রতিবিম্বে এই অশ্রু গড়ালো বুঝি;
টিপ পড়তে তার তদবির জোরদার
বলি চিবুকের তিলটাই যথেষ্ট আমার শান্তির পুঁজি।


আমি ছাড়া কেউ জানে না সাধ্বী মুখ উজ্জ্বল কত
হাসলে পরে এক নিমিষে পূর্ণিমা চলে আসে!
আমি চেয়ে থাকি কেবল চেয়েই থাকি
জ্যোতি আমার বিধাতার দেয়া একার আকাশে।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ১৪/১১/২০২৩ (সন্ধ্যায়)