আমি নিজেকে প্রচুর মনোযোগী হতে দেখি
নিষ্পলক চোখে তাকিয়েই থাকি সে এক অভ্যেস,
রূপোর মতই চাঁদের ঝিলিক আমার শিয়রের পাশে
বিভোর ঘুমের কাজল চোখে সে ঘুমিয়ে আছে বেশ।


এতো স্নিগ্ধ সুষমা মুখমণ্ডল জুড়ে প্রাণোচ্ছল খুব
যেন শুক তারার মতই জ্বলজ্বলে ওই চিবুকের তিল,
আমি দেখে যাই দিশাও হারাই বাতাস উড়ালো চুল
যেন মনে হলো শান্ত পুকুরে কেউ ছুঁড়ে মেরেছে ঢিল।


খুব সাবধানে আলতো ছুঁয়ায় সরিয়ে দিই গোছা চুল
একটু স্পর্শেই বিরক্তি তার নড়েচড়ে মাথা রাখে বুকে,
আমি সানন্দে তার তপ্ত নিশ্বাসের আঁচে পুড়ি ভীষণ
আর চুলের ঘ্রাণের মাদকতা তার টলায় আমাকে।


ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে আসলে ছেড়ে দিই বিছানা
রাত দুপুরে ঘড়ির কাঁটায় সময় বুঝি তিনটে,
ঝিঝি পোকায় সুর বেঁধেছে জোনাক নাচে তাই
অমনি সে পেছন থেকেই জড়িয়ে নেয় জাপটে।


আমি ফিরে চাই আর বুঝাই কি সমস্যা
সে ফুলে আছে কেনো জানা নেই উনিশ বিশ,
মিনিট পাঁচেক পরে অভিযোগের সুরে, বলে
"কি ভাবে ঘুমবো দাঁড়িয়ে আছে কোলবালিশ। "


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ২৩/০৮/২০২২