তিমির জানে সে গভীর কত
দেখে নাই কেউ সীমানা তার।
নক্ষত্র জ্বলে যেন দগদগে ক্ষত,
জমিনে দাঁড়িয়ে আছো নির্বিকার।
বিচিত্র অসুখ ছায়াপথের পথে-
মানবতার বরি খেয়ে সারে কই?
মহাপ্রসারণে চড়ে আছে দৈব রথে
চড়াই চড়তে আজি লাগালে মই!
গালের পাদদেশে নোনাজল জমে
রহস্যের মোহে দৃষ্টি হয়ে আসে ঝাপসা-
কোথা ছিলো আদম; হাওয়া ধুমকেতু বামে
অতল গহীনে ভ্রান্ত মানবের তপস্যা।
শেষে ক্ষান্ত হয়ে হাতে সরাবের গ্লাস
ব্যথার কষাঘাতে জর্জরিত সিনা পিঞ্জর!
আঁধারি জীবনে মৃত শরীরের নিঃশ্বাস
হাওয়াই ছন্দে উচ্ছ্বাস শুকনো পাতা মর্মর।
তিমির জানে সে গভীর কত
কল্পিত সীমারেখা টেনে সুপার-ক্লাস্টার,
সাত ফটকে পহরির টহল অবিরত
ছেদ দেখা যায় না দৃষ্টি ফেরালে বারবার।
তারপরও ব্যবচ্ছেদ নিয়ে সম্যক ফিকির
প্রণয়ে সম্পর্ক নাই আর সম্পর্কে প্রণয়,
আপোষ সম্ভব জেনেও নালিশি জিকির
মুখ মুখোশের আড়ালে স্ব হাস্য অভিনয়।
মহাকালের নাট্যমঞ্চের ছিলো না কমতি
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অভিনেতা জানে,
পরদে পরদে শিহরণ জরা-ক্লেশ-স্বস্তি
সর্বগ্রাসী সর্বহারা তার অস্ত যাওয়ার লগ্নে।
রিক্ত হাতেই বিভাজন কত; কত বর্ণবাদ
কফিনের গায়ে প্রতিধ্বনি হলেও মহাবীর,
তোমার ছিল না কিছুই তাই মৃত্যু স্বাদ
আমন্ত্রণ এসছে নিয়ে যেতে রাজ্য তিমির।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ২৯-০৮-২০২২