কাব্যিক বই সে বুঝতে চাইতো দূরে দূরে থেকে
অনাগ্রহ সাহিত্যের প্রেমে; তবু উল্টাতো পৃষ্ঠা।
এক দুই লাইন পড়ে মাথা ভার যেন হাইপোথিসিস-
বুকশেলফে রেখে বলতো, "পরে পড়বে শেষটা।"


এদিকে তাকে ধূলো জমেছে বেশ অনেক বছর
বইয়ের মোড়কেও লেপ্টে গেছে মাকড়সার জাল।
এতই ব্যস্ত সময় হয়নি আর পড়তে নতুন কবিতা
অল্প যত্নে মুছবে কি ধূলো, সে নিজেই নাজেহাল।


কদর্য হয়ে নিজের খেয়াল হারিয়ে বসেছে আজ
চিন্তায় শুধু বিস্ময় যেন দিন ফুরোলো এমনিতে।
অগোছালোটি এখন বেশ দেখে জানলায় আকাশ
মেঘের কুয়াশায় ছায়া খুঁজে যার সে দূর অতীতে।


বিমর্ষ মনে আনমনে রাত্রি মাড়ালে চাঁদের উঠোন
আকাশ দেখার নিষেধাজ্ঞায় নিদারুণ দরকষাকষি,
কপোল থেকে সড়িয়ে চুলের গোছা, আয়না দেখে
পুরোনো কথায় সচকিত হয়ে তার ঠোঁটে ফুটে হাসি।


অনেক দূরের মানুষটারে তার আবার মনে পরে
কাজল কালিতে শান দেয় তাই চোখের পাতাগুলো,
চিবুকের তিল ছুঁয়ে বলে, "আমিই তার জীবন্ত চাঁদ
আকাশ যখন জড়িয়ে নিক, হোক আলোয় আলো।"


দুই হাতের তালুর চন্দ্রবিন্দু মেহেদীর লালে লাল
চুড়ির স্বশব্দ পরনের শাড়ি সামলাতে মশগুল;
বুঝে গেছে এবার কে বইয়ের শিরোনাম 'তিলোত্তমা'
লাজ ভুলে গিয়ে খুব নেচেছে ঝুমকো কানের দুল।


হালকা সাজে রাণীর বেশে দিব্যি ছড়ায় জ্যোতি
কঠিন ব্যক্তিত্বের মানুষটাই তার নিজের আকাশ,
দূরেই থাকে জড়িয়েও রাখে তার কল্পিত রাজ্যে
একাকিত্মের জয় গানে কবির তারায় তারায় বাস।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ১২/১১/২০২৩ (দুপুরে)