"আজীবন বিশুদ্ধ প্রেমিকের প্রাপ্তিতে বেদনাই থাকে
বিস্তৃত আকাশ; দেখা গেলেও অস্তিত্ব ছোঁয়া যায় না।
বেদনার রঙ নীল হয় কেনো তুমি প্রশ্ন করতে তার-
আমি এড়িয়ে যেতাম উত্তর কত, শুনতাম না বায়না।
নির্লিপ্ত বাসনারা আমাকে কুরে কুরে খেত আয়েশে
তবু সংবরণ করতাম লোভ তোমার গোলাপি ঠোঁটের,
এখতিয়ার ছিল না ব্যক্তিত্বের কাছে, অশোভন হতো
সবটা বুঝেও নির্বিকার ছিলে, নিয়েছ পরীক্ষা ধৈর্যের।"


" দীর্ঘ সাত বছর পরে আকস্মিক দু'জনের দেখা হলো
ভেবেছিলাম তুমি হয়তো বেছে নিয়েছ প্রবাস জীবন,
আজকে এভাবে এখানে দু কাপ চায়ের সাথে কথা
এই দিনও দেখতে হবে ভাবিনি, আহা কপালের লিখন!
কত খুঁজেছি পরে অনলাইন অফলাইন বন্ধুদের কাছে
কোথায় হাওয়া হয়েছিলে তুমি কেউ জানতো না খোঁজ।
ভালোবাসার না ছিল চুক্তিপত্র আর না দলিল দস্তাবেজ
স্বীকৃতি দিইনি, অন্যের ঘরণী হয়ে কেঁদেছি রোজ রোজ। "


" চোখে অশ্রু ঝরেছে তবে কেঁদেছিলাম কি-না জানি না
বিয়ের পিঁড়িতে তোমাকে দেখার সাহস করিনি সত্যি,
স্বপ্ন সে তাসেরঘর ভেঙে পড়েছে, তুমি চেয়েছিলে তাই
আর বন্ধু মহলে অসহ্য লাগতো শুনতে নানান কটুক্তি।
এক অবকাশ চাচ্ছিলাম জীবনের সবটা গুছিয়ে নিতে
অগোছালো যা ছিল সব এখনো অগোছালোই আছে;
দুনিয়াবিতে হয়েছি এক অবাঞ্ছিত মানুষ টিকাতে সম্পর্ক
হৃদয়বান হয়ে বুঝেছি পরে, আমার হৃদয়টা নেই কাছে। "


" বিয়ে করবে কবে? এই বাউণ্ডুলে বেশভূষা আর না প্লিজ
জানো ননির পুতুল তোমার এখন এক পরি পুতুলের জননী?
ক্লাস থ্রিতে উঠবে দু'দিন পরে, এখনই যে পাকনা মেয়ে সেন
এত এত বুঝাই, হৈ-হুল্লোড় চেচামেচি তার একটু কমেনি। "


" এখনো এক দমে প্রশ্নই করছো, আগে নিঃশ্বাস তো নাও
আমি জানি ভালো করেই আর্জু কতো মিষ্টি আর ডানপিটে,
আমার পেত্নীর কোলের পরি উড়ে গিয়ে প্রজাপতির ডানায়
তুমি নাহয় চেনোনি ইচ্ছে করে, তবে সে ঠিক চিনে আমাকে।
সে এখন তো রোজই আসে নতুন সব ছবি আঁকার ছুতোয়
প্রজাপতির নেকলেস টা গলায় দেখে প্রথদমদিনই বুঝেছি।
সবার সামনে 'স্যার' না ডেকে মাতোয়ারা বন্ধু- বন্ধু ডাকতে
ওর নিষ্পাপ হাসিতে মনোযোগী হয়ে বুকের কষ্ট মুছেছি। "


কলমেঃ রনি পারভেজ (JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ১৩-০২-২০২৪ (রাত্রে)