" প্রশ্ন হলোঃ আপনি এমন কেনো, কারো মন রাখতে জানেন না?
ঠুনকো মনের যত্ন নেয়া লাগে জানেন না ওটা ভঙ্গুর কত?
মুখে আছে কত বহির্বিশ্বের কথার মুখরোচক বুলি
জানেন না ওটা উপরওয়ালার ঘর রহমত মত? "


সে তির্যক দৃষ্টিতে আমাকে ফালিফালি করছিল। আমি সে মুহূর্তে তার চোখে পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা সবচে বড় অপরাধী, যে নিজেকে আত্মগরিমায় আচ্ছাদিত করে রেখেছে নিষ্ঠুর ভাবে।


খানিকক্ষণ সময় চুপ করে অতঃপর;


" হুমমম; আমি মন রক্ষা করতে জানি না
বস্তুত কোনোদিন ইচ্ছে জাগেনি রক্ষা করতে,
যে মন ভেঙে যাওয়ার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত খুব
আমিও চাই না সে মনকে জাপটে ধরতে!
হয়তো হেন বিষয় তোমার চোখে প্রশ্নবিদ্ধ-
যদি জানতে শক্ত লোহাও কেনো আগুনে পুড়ে
কেনই কামারের হাতুড়ির কষাঘাতে জর্জরিত
তবেই বুঝতে কি ছিলো নিষ্ঠুরের গল্প জুড়ে।
আমিও মানুষ বুকের বামে ধুকপুকানি আছে
উপরওয়ালাও জানেন সেখানকার অবস্থা কি!
সেখানে কোনো ননির পুতুল একদিনও টিকবে না
এজন্যই বারবার ভাঙ্গি যা আছে ভাঙ্গতে বাকি।
জীবন যুদ্ধে যে সহযোদ্ধা হওয়ার বাসনা পুষে
তারও বুঝা উচিৎ সৈনিক একদিনে হওয়া ভুল
জাহাজের পাঞ্জেরী কি আর দিক ঠিক রাখবে;
যদি ঘাবড়ে  গেল নিয়ে ভাঙ্গা সাধের মাস্তুল ! "


"থামেন, অনেক হয়েছে বক্তৃতা
আপনি মানুষটাই আসলে প্রচণ্ড তিতা
বলি সাঁতার জানেন তো জাহাজের নাবিক?
পাঞ্জেরী হলে ঠিকই নিয়ে যাব বরফের দিক।
টাইটানিক মত ডুবিয়ে দিবো, আবার মন ভাঙ্গলে
সব কিছুতেই বেশি বেশি, বাসা ঘরেন গিয়ে মঙ্গলে। "


"এইযে এখন ঝগড়া করে, ঝগড়াটে একটা। "
" আপনি করেন ঝগড়া এতবড় মাথামোটা। "


পরে দুজনেই চুপ; যত কথা চোখেচোখে। মুচকি হেসে ভ্রান্তিবিলাসে দৃষ্টি  সরিয়ে পরক্ষণেই আবার তাকায় অতল গহীন গহ্বরে।।



কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ১৮/১০/২০২২ (সকালে)