" আমার স্বাদ আহ্লাদের প্রসঙ্গ না এটা
স্বাদের পূরণ সান্ত্বনা দিয়েও করা যায়,
আপনি তো আমার স্বাধিকারের ন্যায্যতা
শুধু আমিই নেই আপনার ভাবনায়! "


তিলোত্তমার মনটা ভারি ভীষণ যা চোখে মুখে স্পষ্ট ; নাখোশ হয়েই মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে আছে জানলা দিয়ে। কিছুটা অভিযোগ তার কড়া রোদ্দুরের মত তাতেই আমার ভেতরকার অনুভূতি চিরে চিরে চৌচির।


বলে উঠি;


" আপনার স্বাধিকার ন্যায্যতা হৃদয়ের স্পন্দনে
আপনি স্ব উল্লাসে মাথা রাখবেন অধিকার নিয়ে
আমি  লম্বা দমে কপোলে চুমু এঁকে দেবো কেমন?
চেপে রাখবো বুকে আত্মা আত্মায় জড়িয়ে...।।
আমার ভাবনা জুড়ে এত জাগতিক ব্যস্ততা
মস্তিষ্কের স্নায়ুযুদ্ধে দুচোখ ক্লান্ত হয়ে যায়
আপনিই তো সোহাগি হয়ে মাথা কোলে নেন
ঝাঁকড়া চুলে আঙুল চালান  আকাশ মায়ায়। "


তিলোত্তমা তখনও চুপচাপ, বাধ্য হয়েই নিজ দায়িত্বে তার মুখ ফিরিয়ে দেখি নির্ঝর কান্না!!  তার অশ্রুপাত বুকে তড়িৎগতিতে জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আসে!


" কি?  কাঁদতেছেন কেনো? কি.. বলেন আমাকে.. "
" না কিছু না ; আমি ভালোবাসি আপনাকে। "


বাচ্চাদের মত জড়িয়ে ধরে নিজেই করে বিড়বিড় খানিকটা সময় পরে-


" দু দিনের কথা বলে পাঁচদিন কাটালেন, নিষ্ঠুর
আপনি যদি জানতেন অল্প প্রহরও বছর বছর লাগে
অপেক্ষার সময় কাটে না স্ট্যাচু হয়ে যায়
দেখেন না, অশ্রু গড়িয়ে একাকার কিছু বলার আগে। "


" কাজের চাপ ছিলো অনেক
কে জানতো আকস্মিক মিটিং মিছিলে আঁটকে যাবো
আমিও তো এক রকম কারাগারেই ছিলাম
প্রতিক্ষায় থেকেছি কখন মুক্তি পাবো। "


" মুক্তি?? সেটা আপনি পান নাই এখনো "


দুজনেই হেসে উঠি নিপাট পুলকে......



কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ২৭/১০/২০২২