এই যে বুকের বামে বরফ জমেছে-
শুভ্র সাদা বরফ; কালের বিবর্তনে নীলাভ এখন,
নানান ঘাতে হৃৎপিণ্ডে রক্ত ঝরেছে
পরখ করবে? লাল রক্ত জমে জমে কালচে তখন।
এত বছর পরে ফের দেখা হলে অপ্রত্যাশে
আপাদমস্তক দেখে নিলেও চিনবে না আর,
অনুভব মোচড়ালে ভেতরে ভেতর উল্লাসে
অতি আগ্রহে ফিরে তাকাবে বারংবার!
কেনো এই মানুষটার মিল চেনা মানুষটায়?
স্মৃতিতে দগদগে আগুনের লেলিহান দাবানল,
ছাঁই হওয়া চিঠির ভাষা উদ্ধারের বৃথা প্রচেষ্টায়
দ্যাখো, দীর্ঘশ্বাস বাতাসে মিশে ভাড়ি করে মেঘদল।


এখন ঝুম বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাবে সব
বিবর্তনের পরেও সজাগ হবে চিরায়ত বরণটা,
শুধু কমতি স্পন্দন নেই পরে আছে নিথর শব
ক্ষণিকের জীবনী না টানলো, আজি টেনেছে মরনটা।
নেত্রের পাতায় পেরেক ঠুকেছে স্রষ্টার দূত
অনাদি তৃষ্ণায় আক্ষেপ কি আর দেখা হলো না মুখটা,
কাজল হতে ঐ চোখ চেয়েছি, দাবি ছিলোও অদ্ভুত
ভালোবাসি না বলে চোখ চেয়ে বসার পাগল লোকটা।


"দায় ছিলো যে জন্মান্তরের, বসতি দিলে হৃদে
চিত্ত বাহার ললাট সবার মালিক তো একজন
ভাগ্যে আমার অন্যপুরুষ, দায় না অসুবিধে?
দুই দুয়ারে রাখলেন কেনো আত্মার আপন?
চিঠির লেখা পুড়েই গেছে, পুড়েছে অশ্রুর দাগ
কাজল কালিও ছাঁই হয়েছে তুমি যদি জানতে!
ভাঁজ খুলে আর হয়নি পড়া তব স্মৃতিতে সজাগ
পাগল আমার উঠবে এসো একটু কাজল টানতে!"


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ২৩/০৪/২০২৩ (মধ্যরাত্রি)