"শুনলাম তুমি দেশ ছাড়ছো?
কি হলো চুপ করে আছো যে?
নাকি নির্ঘুমেই স্বপ্ন সারছো
চিনতে পারনি বোধহয়, আমি কে?"


রুদ্রাণী! দীর্ঘ এক যুগ পরে ফোনের ওপাশ থেকে একের পর এক প্রশ্ন করছে। কি উত্তর করবো তা ভাবছিও না, শুধু মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যাচ্ছি আমায় বিমোহন করা স্বর।


" কি হলো? আমি নিশ্বাসের আওয়াজ পাই
ইচ্ছে করে চুপ করে আছো তাই না?
তোমার সাথে খানিকটা কথা বলতে চাই
অগত্যা মনে করলে থাক চাই না। "


" রুদ্রাণী কেমন আছে?
এখনো কি অনিচ্ছুক মনে কাজল পড়ে?
কি কথা বলবে পাগলের কাছে?
তাও আচমকাই যেন এক যুগ পরে! "


" কাজল পড়ি না আর এটা সত্য
ও নামে ডেকো না আমায় আর
কথা বলতে জানার ছিলো এই তত্ত্ব
এই  দেশান্তরি হওয়ার কি দরকার!
তুমি চলে গেলে আর আসবে না জানি
ত্যাগ করবে চিরতরে মাতৃভূমির কোল!
এমন জানি বলেই হয়েছি অভিমানী
হটকারিতায় উদ্বিগ্ন আবোল তাবোল। "


" আচ্ছা, হটকারিই হলাম এত বছর পরে
কাজলের মত করে মুছে দিলেই তো পারো,
সময় নাই দুজনে শহর ঘুরবো রিকশায় চড়ে
যুগের ব্যবধানে বেড়েছে দূরত্বের সীমা আরো।
আমার তো কেউ নেই রুদ্রাণী ছাড়া
নিঃস্ব জীবন এবার নাহয় নিশ্চুপে থাকুক
নিঃসঙ্গতায় কত খাব জনমানবের তাড়া
আমার বলে যা আছে তা রুদ্রাণীর সবটুক।"


" রুদ্রাণী ক্লাস সেভেনে এবার
যদি টের পায় ভিসা ছিঁড়বে ডানপিটে মেয়ে,
নিঃসঙ্গ বলছো বিয়ে করোনি তবে আর
কেনো স্বেচ্ছাচারিতা আকাশে চেয়ে চেয়ে? "


ফজরের আযান হচ্ছে। 'মা' 'মা' চিৎকার আমি এপাশে শুনতে পাই। ছোট রুদ্রাণীও কোকিলা ডাকে নামাজের তাগাদা দেয়।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD-কাবলিওয়ালা)