" অনুভূতির মৃত্যু হবে একদিন অযত্নে
হ্যাঁ, প্রকাশ করিনি; কি করে করতাম?
আমার সত্য চাওয়ার পাল্লার ওজন যে
অপর পাল্লার চেয়ে কম এটা জানতাম!
পিতা-মাতার স্নেন-মমতা সেখানে ছিল
ছিল ভাই-বোনের  আদর-সোহাগে পূর্ণ,
বিবাগীনির মনে কত কথা তুমি জানো?
বলতে চেয়ে পারিনি হয়েছি ভেতরে চূর্ণ!
তুমিই বলেছিলে অপরিচিতের মতন
ভেঙে গেলে আত্মার পরিচয় জানা যায়,
আত্মার আত্মা হয়ে তবু অশ্রুতে গড়াও
শুধু বুঝাতে পারিনি আমার কত দায়! "


পরিবারের মুখ চেয়ে তিলোত্তমা বরাবরই দুর্বল মনা। সে শত সহস্র আপত্তি সত্যেও নিজের অনুভূতির কোরবানি দিয়ে দিবে হাসতে হাসতে। তার চোখের কোণে আলোড়ন তোলা সমুদ্রের ঢেউ, অপর একটা তীর ঘেষা শহর জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দিবে সেটাও সে জানতো।


" কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আকাশ দেখা
বালির তটে অসাড় শরীর বিধ্বস্ত মত,
দূর দূরান্তে গোল গোল ঘুরছে গাঙচিল
বিষাদ হাসিতে সরব পাগলের কাণ্ড যত!
মানুষটার অধিকার নেই কোনো কিছুতে
ভেজা বালির প্রাসাদ ক্ষণিকের সে জানে,
জলোচ্ছ্বাস না হোক তবু প্রখর সূর্যালোক
সব নোনাজল শুষে নিবে পিপাসার টানে!
তারও দায় ভালো রাখায় সে আত্মা যখন
ভঙ্গুর দ্বীপে এক অযত্নের নারিকেল গাছ,
কবরের মানচিত্র বুকে আকাশ সাক্ষী
রাণীর মাথায় নারাজি দিতে কষ্টের তাজ।"


এক আত্মায় সচেষ্টতা সম্মান ভেবে ভেবে অপরদিকে অপর আত্মায় বিধাতার চোরাবালি! উভয়েই চায় আবার কেউই চায় না; যেন দুই দরিয়ার ব্যবচ্ছেদ মেনে আত্মার আত্মা হয়েও একীভূত হয় না।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ২৭/০৭/২০২৩ (বিকেলে)