গন্তব্য জানা ছিল না একদম
সময়ের ট্রেনে চেপে পেড়িয়েছি পঁচিশ স্টেশান।
টিটি অপেক্ষমান টিকেট যাচাইয়ে সন্তর্পণে
এই বুঝি নামিয়ে দিয়ে করে যাত্রার অবসান!
নাহ! এক নজর দেখে সামনে চলে গেল
কি জানি কেনো কিছু জিজ্ঞেস করলো না,
বেশুমার ভাবে হবে হয়তো পাগল ভেবেছে
এখতিয়ার থাকা সত্যেও যেচে ধরলো না!
বিব্রত হয়ে শেষে গুটিসুটি মেরে
চাদর মুড়িয়ে বসলাম দেখে সিটের কোণা,
ঝিমুনি মতন চোখ লেগে লেগে আসে
সবাই ব্যতিব্যস্ত যেন কেউ কারোর না!
এক পিচ্চি এলো খুশমেজাজে
আমাকে দেখেই তার ফোকলা হাসি,
চাদর টেনে এক পায়ের ভরে সিটে উঠলো
পা দুলিয়ে এঁটে বসলো পাশাপাশি!
আমি তীর্যক ব্যাঙ্গ করি ভয়ও দেখাই
কি সে কি, সে হাসিতে লুটিয়ে পড়ে,
এক গালে বেশ টোল পড়ে আহা-
উঠে সিটের উপর নাচে ঘুরে ঘুরে।
ঝাপটে ধরে কোলে বসালাম
"নীল পরিটার ডানা নেই কেনো রে?"
" পরি আবার কে! আমি চাঁদের বুড়ী
সবাই তো তাই ডাকে আমারে! "
কথার মাঝে বাগড়া এলো আচমকা
নাজেহাল মত দাঁড়িয়ে সামনে জননী তার।
মুখে তাকাতেই নতদৃষ্টি হিমায়িত সব
চাঁদের বুড়ীও ছাড়তে নারাজ কোলটা আমার।
অসাড়তা তীব্র হলে চোখের পর্দা নামে
কবর থেকে আর্তনাদ আসে মৃত অনুভূতির,
" আর্জু! উঠে এসো, দুষ্টুমি না আর.... "
আমার রাখা নামের তোপে আবার চৌচির!
অনাগত দিনের কল্পনা ছিলো
ছিলো আক্ষরিক চড়ুইভাতি সংসার,
তবু ভবঘুরে নিতান্তই কাবলিওয়ালার বেশে
অদৃষ্টের বিচিত্র করুনাই হবে সময় যাত্রার।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ০৫/০৮/২০২৩ (সন্ধ্যায়)