সে আমার বিভ্রম নয়, ছিলোও না কোনোদিন
বুকের বামে থেকেছে সবটা সময় অপরিহার্য।
ভীষণ মন খারাপের দিনে হলে একাকী সঙ্গিন
আমার পাশেই হেঁটেছে পথ; কভু হয়নি অধৈর্য্য।


টের পাই অস্তিত্ব তার খুব পরিচিত চুলের ঘ্রাণে
খিলখিল হাসিতে মেতেছে সে, শব্দ আসে কানে।
নির্মল বাতাসে মিশে থাকলেও বসতি গড়া প্রাণে
স্ব শরীরে আসে না সম্মুখে নাকি মান অভিমানে।


কেবলই ছায়া ধূর্ত বড়ো সহজে ধরা যে খুব দায়
সজ্ঞানে আলোর ঝিলিক চোখের হতেই চায় না,
আশা পুষে রাখি আগ্রহে পরম ঘুমুতে কোলটায়
কতকিছু ভেবে স্বপ্নে আঁকি নানা রঙের আলপনা।


সে তার ইচ্ছের মালিক, নিজের মর্জিতে সব করে
তাও কখনো সাজিয়ে দিতে ধরে বায়না বাচ্চামিতে,
পাখির কণ্ঠে চিৎকার তার আকস্মিক কাক-ভোরে
আরেকটু ঘুমানোর আর্জি উঠবে না কুয়াশার শীতে।


শিশির কণায় সুখ জমতে রাশি রাশি রোদ্দুর ঝরে
মৃদু বাতাস এসে শিহরণ দেয় জড়িয়ে বেঁচে থাকার,
আলতা লালে শাড়ির পাড়ে প্রজাপতিরা খেলা করে
কাজল পড়া দু'চোখে তাকালে কি করে বাঁচি আর।


সে যেন লজ্জাপতি গাছ লজ্জায় খুন মাথা নিচু করে
খোঁপা বাঁধা চুলে গুঁজি বেলির মালা নতুন পরিচর্যায়;
সুন্দরীতমা আমার মায়ার দেবী ডাকি তিলোত্তমা ওরে
বুকে জড়াতেই আলগোছে আমার অস্তিত্বে মিলে যায়।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)
সময়কালঃ ২৪/১১/২০২৩ (ভোরে)