চায়ের পেয়ালার পার্শ্ব ঘেঁষে আঙুল কাটে চক্কর
কৌতুহলি মনোযোগ ভেস্তে গেল দৃষ্টি পড়তে অতিসত্বর,
মাথা নিচু করে অধর কামড়ে চোখাচোখি নিয়েই চিন্তা
দৌড়ে পালালো না চেকে চা ঠিক মিষ্টি নাকি নোনতা ।
আমিও কিনা হেসে উঠেছি ; কাণ্ডজ্ঞানহীন মতন
পাবলিক প্লেসে লজ্জা পেয়েছে জীবন্ত উপঢৌকন!
প্রথম দেখা আকস্মিক মতন, কতটা নাজুক অবস্থায়
খানিক দেখেছি তিলোত্তমাকে নির্জীব প্রাণের শহরটায়,
রক্তেরবেগ মিশিয়ে আবেগ দিগ্বিদিক ছুটে একটুতে
কল্পিত চরিত্র বাস্তব হলে কে থাকে কোথায় স্বস্তিতে?
আমিও সেদিন থ হয়ে ছিলাম, ঠাণ্ডা হয়েছিল স্বাদের চা
চোখের বায়না পিছু চলুক, অন্তর্দাহে মনের এগোইনি পা।


পিচ ঢালা পথে এত শোরগোল, গাড়ির হর্ণে কানে তালা
হেঁটে চলি তায় পায়ে পায়ে দূর মাথার উপর আকাশ খোলা,
রঙধনু অপার সাথে সাদা মেঘ চমৎকার একে দুয়ে মিলেমিশে
"ওই দ্যাখ রঙধনু!! রঙধনু!!" কারো চিৎকার আমারই পাশে।
ঘাড় ফিরিয়ে যেই তাকানো আবার আলগোছে চোখাচোখি
তিলোত্তমা সে তীর ছুঁড়ে দিল আর লোকেরা দিল বকাবকি-
"আরে মিঞা রাস্তা ছাড়েন!! জ্যাম ছুটছে দেখেন না নাকি"
দ্বিতীয় দেখায় ফের লাপাত্তা, একমুহূর্তে দিল আবার ফাঁকি।
আমি বেমালুম মাথা চুলকাই পুলক সঞ্চার হয় আনমনে
দেখার তৃপ্তি সে যত অল্পই হোক বেঁধে রাখে মায়া টানে।।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তার ছুঁচলো বড়, বুকে যন্ত্রণা দেয় সহসাই
আমি ভাবি শুধু কল্পনাতে বাস্তবে ভাবার অবকাশ নাই।


যাচ্ছে সময় শরৎ মেঘে ঝকঝকে তকতকে দৃশ্যপট
স্বৈরাচারী জীবন আর কতক্ষণ রয় উদ্দেশ্যহীন উদ্ভট?
গোধূলি মায়ায় সূর্যের তাড়া ঢলে পড়তে সে খুব ব্যাকুল
আমি অকারণ বায়না ছাড়াই তুলে এনেছি গুচ্ছ কাশফুল।
ফুলগুলো রেখে একান্ত মনে দুদিন আগের পত্রিকা পড়ি
কাঁচের চুড়ি টুং শুনলেও দৃষ্টি না দিতে ফুল সব গেল চুরি,
হাসি খিলখিল শাড়ী পড়া নীল, নামিয়ে অবাক পত্রিকা
সে ফিরে চায় ফের তিলোত্তমা! আমি পাথর মত খাই অক্কা!
তৃতীয় বারে আচ্ছা ঝাঁকুনি খেয়েছি বর্ণনাতে কুলাবে না
আমি আনমনে তাকিয়ে গগনে, "এই ছিল আমার পাওনা?"
কল্পনাতে বড্ড সোহাগী হলেও বাস্তবে করে জ্বালাতন
এত যদি মিল চিবুকের তিল তবু আমার কাছে অঘটন।


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ১০/১০/২০২২