গ্রীষ্মদুপুর স্বয়ং ছায়া খুঁজছে ;
খাঁ খাঁ খাঁ খাঁ করছে মাঠের পর মাঠ ফাঁকা মাঠ
কোত্থাও গাছ-গাছালির চিহ্নমাত্র নেই ;
শুকনো পাতা উড়িয়ে খুন খুনে হাওয়া
           পার হয়ে  যায় মরা নদীর চর,
চরে কাত হয়ে আছে স্মরণ-তরণী, প্রত্ন ছই ;
মাঠে একা দাঁড়িয়ে পাতা-হলদে-হয়ে-আসা
              ক্ষত-বিক্ষত এক যুবতী খেজুরগাছ ...


জ্বলে-পুড়ে হাঁফাতে হাঁফাতে ধুঁকতে ধুঁকতে
গ্রীষ্মদুপুর বুকে খানিকটা আশা নিয়ে কাছে আসে ...
                                           কুণ্ঠিত, সাবধানী ;


ছায়া কই  ?


বিরল ছায়াটুকু নিজের শরীরে জড়িয়ে
আক্রোশে নাকি ঔদ্ধত্যে তীক্ষ্ণতাকে উঁচু করে তুলেছে আকাশে ;
নিঃসঙ্গ খেজুরই যেন শান্তিছায়াকামী...


হতজ্ঞান গ্রীষ্মদুপুর বলে, "এ তোমার  ভারি অন্যায় ।"
খেজুর সহাস্যে বলে, "আমি কিন্তু রসের খবর জানি ।"