পথে যেতে যেতে ক্ষণিক থমকে দাঁড়াই
অপরাহ্নে কোথাও বৃষ্টির ঘ্রাণ পাই
দলছুট মেঘ দাঁড়িয়ে আছে দিগন্তের কাছে
তবুও অপেক্ষায় আছি পুরনো সৈকতে
কবে ভরা-কটালের উচ্ছ্বাস প্লাবনে
একঝাঁক গাঙচিল নামবে বেলাভূমে।


এই বৃত্তের বাইরে কোন সমুদ্র নেই
এই চিত্তের ভেতর কোন সরোবর নেই
যার জলে ডুব দেয়া যায় একটা প্রহর;
চিত্তানন্দের বাক্সবন্দী হরেক রংতাল
বহুবার দেখেছি দিকভ্রান্ত নাবিকের চোখে-
দু'পারে বিস্তৃত ধু ধু মাঠের ভেতর।


আবার সন্ধ্যা আসে অসমাপ্ত বিকেলের পাদপিঠে-
অবরুদ্ধ অন্ধকারে; তবু কল্পের ফেরিওয়ালা আসে
কিছু তার নিষুপ্তির সুধা নিশুতির সাথে
পুরনো বীণার তারে বাজে এ নূপুর
অনাহুত সুর সঙ্গীতে; শুধু এই অবাধ্য সময়
দুর্ভেদ্য দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে থাকে গমনের পথে।