আলোচনায় রাখতে চাই,
বাংলাদেশে এক নাম ভাই।
বানভাসি পরিচিত থানা,
সারিয়াকান্দি জানলে জানা।
উপজেলার এক গ্রাম তাই,
ভেলাবাড়ী নাম ভাই।
বয়ে গেছে বাঙালী নদী,
মনে রাখে শৈশব স্মৃতি।
উত্তরে আছে ভেলাবাড়ী,
দক্ষিণে সাতবেকি বাড়ি।
মাঝখানে জোড়গাছা নামে,
মৌজা ধরা এই মাটিতে।
গ্রামের মাঝ বরাবর পথ,
দুই ধারে প্রতিষ্ঠা গড়।
পূর্বে বড়িয়া গ্রামের দেখা,
পশ্চিমে কালাইহাটা একা।
তরুণী হাট নামে জায়গা,
ময়- মুরব্বি স্মৃতি দাগা।
কাঁচা মরিচ তুলত ভাই,
মঙ্গলবারে হাটের মাই।
সুবোদ বাজার কিলো পশ্চিমে,
লঙ্কা বেচার সুনাম গেঁথে।
জোড়গাছা নামটি জানি,
ঐক্যবদ্ধ ভালোবানি।
একটি মসজিদ গ্রামে আছে,
চারপাশে সুখ্যাতি যা রটে।
মসজিদের জন্য সুখ্যাতি পায়,
হাজার মানুষ কাহিনি গায়।
ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে পরিষদ,
কাগজপত্র ঠিক করতে রসদ।
জন্ম নিবন্ধন নিজ পরিচয়ে,
এখানেই সবার আশা হয়ে।
মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল আছে,
সবই যেন ছাতার নিচে।
হেফজোখানা, মক্তব তাতে,
শিক্ষার আলো জ্বলে মাতি।
মহিলা কলেজ আর বালিকা বিদ্যালয় ,
হানাহানি নাই কোথায় পাই।
ঈদগাঁ মাঠে নামাজ হয়,
সাতাশ পাড়া মিলে এক হয়।
সারি বাড়ির গ্রামটি দৃষ্টি টানে,
এমন গ্রাম আর কোথাও পানে।
কৃতি সন্তান গ্রামে ছিল,
নামের মাঝে ইতিহাস মিল।
সাবেক চেয়ারম্যান দুই নামে,
হাতেম আলী ও মতিয়ার থামে।
ঘোড়া গাড়ি নিয়ে হাতেম ভাই,
শিক্ষার আলো জ্বেলে তবু পাই।
মতিয়ার গ্রামবাসীর প্রাণ,
সারা গ্রাম জানে তার নাম।
করতোয়া নদী বয়ে গেছে,
ব্রীজের গল্প এখন মেখে।
চেলোপাড়া নামটি জানো,
সারিয়াকান্দি পথে মানো।
জোড়গাছায় আসতে চাও,
মধুবন হল বলো ঠিক যাও।
বর্ষায় নৌকার বাইচে মেতে,
শিক্ষার আলোতে এগিয়ে যেতে।
ঘনবসতি এই গ্রামে,
সবাই সুনাম পায় তবু প্রাণে।