- চলুন উঠি এবার। অনেকক্ষণ তো বসলাম।
- আরেকটু বসি না! এতো তাড়া কিসের?
- আকাশের অবস্থাটা ভালো ঠেকছে না। যে কোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে।
- সেটা তো খুশির খবর। এটা নিয়ে অস্থির হবার কি আছে?
- কাপড়-চোপড় ভিজে গেলে খুশির খবর বেদনায় রূপান্তর হবে। কান্নাকাটি করেও তখন আর লাভ হবে না।
- নারীর সাথে কখনো বৃষ্টি উপভোগ করেছেন?
- সেই সৌভাগ্য এখনো হয়নি।
- আজকে হবে।
- আপনি কি বৃষ্টিতে ভেজার মনস্থির করে রেখেছেন?
- আমি ভিজলে কিন্তু আপনারই লাভ। একেবারে নায়ক বনে যাবেন।
- আপনি ভিজবেন, আমি নায়ক বনে যাবো, কীভাবে?
- আমার শাড়ি ভিজে যখন চুবুচুবু হয়ে যাবে, আপনি তখন শার্ট খুলে আমার গায়ে রেখে দেবেন। ব্যস, তারপর আপনি নায়ক।
- তারপর কি হবে?
- কী আর হবে! বৃষ্টি থেমে যাবে। সবকিছু আবার আগের মতো লাগবে।
- আচ্ছা, আমি যদি খলনায়ক হতে চাই, তাহলে কি করতে হবে?
- আমি জানি না।
- আমি বলবো?
- থাক, দরকার নেই।
- আলবৎ আছে। খলনায়ক চিনে রাখা ভালো।
- না, কোনো দরকার নেই। বলবেন না প্লিজ।
- তাহলে বলেই ফেলি। শার্ট খুললে নায়ক, আর শার্টের বিপরীত….
- বলা শেষ? (দুই কানে আঙুল চেপে)
- (দুষ্টু হাসিমিশ্রিত মাথা নাড়িয়ে) হুম।