হেঁটে চলেছি কোন এক
অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
চারপাশে মা বাবা ভাই বোন
আরো কত বন্ধু স্বজন
তবুও যেন মনে হয় নিঃসঙ্গ পথচারীর মত হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
চারদিকে গাছপালা ও ফুলে ফলে
সুশোভিত দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতি
তবুও যেন মনে হয় কোন নিস্তব্ধ মরুভূমির বালি ভেদ করে হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
পায়ের নিচে ইট পাথর বিছানো পিচ ঢালা সুপ্রশস্থ রাস্তা
তবুও যেন মনে হয় ধুলি ধুসরিত মেঠোপথে হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
চারদিকে রঙবেরঙের সুরম্য সারি সারি গগনচুম্বী অট্টালিকা
তবুও যেন মনে হয় ধূলিময় খোলা মাঠের মাঝ দিয়ে ধুলাবালি ভেদ করে হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
পরনে থাকে আমার দামি বেশভূষা
কখনো টাক্সিডো কখনো বা অন্য কিছু  
তবুও যেন মনে হয় বিবস্ত্র অবস্থায় একখানি সাদা চাদর গায়ে জড়িয়ে হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
চারদিক চোখধাঁধানো হরেক রঙের  আলোকসজ্জায় আলোকিত
তবুও যেন মনে হয় নিবিড় অন্ধকার ভেদ করে হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
চারদিকে কানফাটানো কত গাড়ি-ঘোড়া, গান-বাজনার শব্দ
তবুও যেন মনে হয় নিশ্চুপ নিস্তব্ধ মাঠের নিরবতা ভেদ করে হেঁটে চলেছি
সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলিশয্যার পানে।
খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাব সেই
অন্ধকারাচ্ছন্ন চিরন্তন ধূলিশয্যায়,
হয়তো একটি পলকে
নয়তো এক অজানা সময়।