ক্রন্দনে চেঁচিয়া ডাকিয়া হাঁকিয়া শোরগোল,
জারি করিয়াছে শিশু আগমনী কল্লোল।
কত দীক্ষা শিক্ষা নব সংস্কৃতির অর্জন,
ইহা চর্য কর গ্রহণ, ইহা অচর্য কর বর্জন।
কৈশোর নামিয়াছে জীবনে ছাড়ি উন্মেষকাল,
আমোদপ্রমোদ খেল তামাশায় কাটে দিনকাল।
কৈশোর মাড়িয়ে নবযৌবন করিয়াছে ভার,
অবনির বুকে দাপিয়ে বেড়ায় অনিবার।
সকলি তুচ্ছ কেবলি রঙ্গমঞ্চ এ সীমাহীন,
মজিয়া রঙে ভুলিয়া পথ পান্থ দিশাহীন।
নহে সতত, ঘুঁচেছে শীঘ্র নবযৌবনের সাধ,
ভেঙ্গে অংসল কায়েমী জরাজীর্ণের বাঁধ।
হয়ে প্রভূত তুচ্ছতর ষৎ প্রমত্ত ধরাধাম,
রঙ্গমঞ্চ বিবর্ণ হয় অখিল অভিরাম।
আচম্বিতে আশ্লেষ করে ঘোর অমানিশা,
চঞ্চল প্রাণ নিস্তব্ধ নিথর হয় বিদিশা।
ক্ষণকালের মোহনীয় চপল যাত্রার সমাপন,
পান্থ তব সূচনা মহাকালের অনন্ত জীবন।