তুমি দেখ তড়িৎ তার জীবনেরও একি
সমান্তরালে ৷ আমিত ভাবি রক্তলতায়
মরণপৃৃৃৃষ্ট বাদুড়ের উল্টে ঝুলে    থাকা
সমাপ্তিরও সারমর্মে ৷ মৃৃতের   মাটিতে
যখন কাল হতে কালান্তরের  স্তরীভূত
জমাট বিচ্ছেদে শুধুই কান্নার  ফসিল ৷
আত্নার স্বরে তখন জাগে  আবেগেরও
সিঞ্চণে স্বর্গ দ্বীপেরও   কল্পতরু  বার
বিহঙ্গ ডাকে ৷ টিউলিপের বসন্ত  এসে
গেছে ৷ বারি ধারা মুছে দেয়  বিষাদের
কালমেঘ ৷ নীল আসমান হতে    খসে
পড়ে মেঘমনি শোকে       মাতামেরও
চাপড়ানো বুকে ৷ জলপাই শাখে-শাখের
পত্র-পল্লবে ভূমধ্যের প্রশান্তির পরিমল
তুলে আনন্দেরও ঝিল্লর ধ্বনি ৷    উড়ে
যায় সাদা সারস সুখেরও বার্তা   নিয়ে
দূরের ঐ নীলিমায় ৷ বোধেরও    ধূসর
ক্যানভাসে পঞ্চেন্দ্রিয় করে        যখন
বিশ্বাসঘাতকতা ৷ মাঠ শালিকের   শেষ
আশ্রয়ে ঘাপটি মেরে থাকে বিষাক্ত মাম্বা ৷
হায় পিকাসো,তুমি শুধু এঁকে      গেলে
নির্মম বাস্তবতার কপাট ভাঙা সত্য বিদেয়
আলোর রঙে সর্প-নেউলের বৎসা!মরারও
কোকিলার প্রতারণায় হারিয়ে যায় জারুলের
ক্ষণকালেরও বেগুনী হরষ!তবুওত অভিমানী
গ্রীষ্মের উত্তাপে গোল্ডেন সামার ফুলে-ফুলে
ঢেকে যায় বিসর্জনের শেষ স্মারকের এপিটাফ!
হারিয়ে যাক না নার্সিসাস স্বমেহনে ৷ অন্ধ মিথ,
সেত লিখে যায় শ্যাওলা পড়া পাথরে-পাথরে
প্রণয়ী ব্যর্থ ইকোর আর্তনাদ ৷ ধরেছে ফাটল
বিশ্বাসের অবিশ্বাসে ৷ করোটিতে অন্তরীত
মুক্তির স্বাদ ছুড়ে ফেলে যত যুক্তিরও প্রবোধ!
প্রশান্তেরও স্যামন পায় যখন নদীমাতারও
বিনাশ গন্ধ এক মহামিলনেরও মহুয়া মোদকে!