হায় হোগলা বনে বাতাসেরও বিলি!
চলে যায়!চলে যায়! পিছনে পড়ে
থাকে অতৃৃৃৃপ্ত নয়ন;দূরেরও ঐ দিক
চক্রবালে হারায় বলাকার সারি ৷
প্রভাতেরও কুসুম বিকেলে ঝরে!
কিন্তু তোমার-আমার বিগত বার
বসন্তেরও প্রেম!?সেত পাপুয়ারও
বারোয়ারী পুষ্পদামের চীরহরিৎ
অরণ্য!শিমুল-পলাশ চলে যায়!
যাক না চলে!কোকিল আর গাইবেনা!
না গাক কভু!আমি যখন ভালবেসেছি
মাটিরও নিঃস্বার্থ নীরবতা ৷ হোকনা
গ্রীষ্মেরও দাবদাহে ফেটে চৌচির!
চীড়ে-চীড়ে জ্বলসে উঠুক বেদনাতুর
ভিসুভিয়াসের ফুটন্ত উদগীরণ!
হোক না বৃৃৃৃষ্টিরও কান্নায় দুঃখ সিক্ত
কাদামাটির পথ!আমি ভালবেসেছি
নিঃশব্দ নিঃস্তব্ধতা প্রতিটি নিঃশ্বাস
আর প্রশ্বাসের মাঝের ৷ শ্রাবনী কন্যার
ঢলে প্রতারিত হয়েছি বারে-বারে!
শীত রিক্ত পত্রঝরা শালবনে পেয়েছি
শুধু নিঃস্পৃৃৃহ করুণও অবহেলা !তবুও
আমি হয়েছি আজ তটিনীরও অতলা
তলেরও কাঙাল!যে শুধু সত্য সাক্ষী
কাল হতে কালান্তরের; উল্টে যাকনা
বর্ষপঞ্জীরও পাতা একে-একে মাস
চক্রের চটুল পরকীয়ায়!
রজঃস্রাবে-স্রাবে আর হিলালের ছলনা
নয়!অনভ্যস্ততার মেকী পিছুটান আজ
বেঁধেছে জমাট!ভালবাসারা সব
হয়েছে যখন অটল মহাশূন্যতারও ধ্রুবক!