গন্তব্যের নাম রেখেছি আত্মঘাতি স্বাভাবিক ৷
চলার পথে-পথে বিগত কালের ভুলের খেসারতের  
প্রায়শ্চিত্ত পুঁতে রেখেছে রহস্যময় মৃৃৃৃত্যুর ফাঁদ ৷
সমাধানের দিব্য আজও খুঁজে পায়নি
উপশকের প্রশ্নাত্নক তপস্যা ৷
স্পর্শে আয়ু ক্ষয়ের নিধান দেয় বিষাদি দুরত্ব ৷
সরবে নীরব মৃৃৃৃত্যুরা সব জেগে উঠে জম্বী হয়ে ৷
শৃৃৃৃঙ্খলের খুপরীতে বন্দি কম্পিত গতর ৷
তবুও অবুজ চাহিদার কাছে বারে-বারে
হার মানে মৃৃৃত্যুর ভয় ৷
মমীকৃৃৃত ক্ষুধার সৎকারে  
যখন অন্ন দিতে ভুলেছে পূজারী ৷
সুঁইয়ের এফোঁড়-ওফোঁড়ে গাঁথা জীবন
মিথ্যা আশ্বাসের তামাসায় আস্তানা গেঁড়েছে
রাজপথে ৷
পরবাসের সূচী আশীর্বাদে আতঙ্কের জুজু
লেপ্টে দিল মিথ্যা কলঙ্কের আলকাতরা ৷
সিদ্ধান্তের বেগতিকে জরার খামছি
আজ তৃৃৃৃণমূলে-তৃৃৃৃণমূলে ৷
কানে বাজে সদা মৃৃত্যু মিছিলের কুচকাওয়াজ,
প্রিয় হারানোর অশ্রু এখনও শুকায়নি ৷
ধ্বংস সমাগত,প্রস্তুত যমদূত
মুক্তি যখন খুলেছে মৃৃৃৃৃৃত্যুর দ্বার ৷


(করোনার প্রকোপ যখন চরম পর্যায়ে,তখন সরকারের লকডাউন তুলে নেয়ার আত্নঘাতি
সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কবিতাটি লিখিত ৷)'