হায় সুখ!সেত ময়না কাঁটার আঁচড়ে-আঁচড়ে
আজ ক্ষত-বিক্ষত বুক!
আয়ুর দামে ফুটে যখন রক্তলাল পপি অস্পৃৃৃশ্য
পরিত্যক্ত মনে!
হে মরফিয়াসের বোকার স্বপ্নের মিথ্যা সম্মোহন,
নরকাগ্নির ধ্বংস মায়ায় আর কত উদ্ভ্রান্ত
পতঙ্গের বিসর্জণ!
ঝাপসা কুজ্ঝটিকায় হারায় বীর সাইরেণেরও
আত্ননাশিনী রাজ্যে,
সর্প মুখা চোখ যখন স্বর্গচ্যুত এক সুরভীত
রায়হান!
বিয়োগান্তকের সর্গে-সর্গে নিষ্ঠুর নিয়তির হাত
লেখে যায় একে-একে কুশীলবদের আত্নহনন!
নেশারও বিষকন্যা মৃৃৃত্যুর মুখে দিয়ে যায়
আখেরী চুম্বন!
হে নিক্সের নিকষ কালো আঁধারের অভিশপ্ত
সোনালী চাঁদ,তুমিত আজ আর মায়াবিনী
রাতের নও,
যখন ভ্রান্ত পথের পথিক জীবনের বন্ধকে চাটে
ভেষজ নিংড়ানো মারণ রস!
কষ্টে ভুলে থাকার ধূম্রকুন্ডলীতে কতইনা রক্তিম
আতঙ্ক!
হায় নির্ঘুম রজনীর অবৈধ্য তন্দ্রা!অশ্রুতে-অশ্রুতে
আর কত ভরাবি বিষাদেরও নীল সরোবর!
লালসার নামে হলুদ শয়তান যখন সবুজ গুলবাগে
পুঁতে নষ্ট কৌতূহলেরও ভয়ঙ্কর সুন্দরের বীজ!