বিমোহিত আমি ! যা কিছু বন্ধূরে ৷
পঞ্চভুতময় চকিত ভরা সুখে ৷
আন্দোলিত চিত্ত আজ সর্বজিতে ৷
দৃৃৃৃষ্টিরা যখন সঙ্গ বিচ্ছেদে ৷


উদারতা আসে চরম উদাসে ৷
লুকোচুরি খেলিছে যাহা নিঃসর্গেরও মাজে ৷
রহস্যের দর্শণ রইল অভেদ্য ৷
অসীম করিল মোরে হীনক্ষুদ্র ৷


সদা শূন্য মন তালাসে মরে ৷
আমি কে ? কোথা হতে ?
হৃৃৃদয় টালমাটাল দৃৃৃৃৃশ্যেরও ঝলকে ৷
সত্যেরা বোধে আনন্দ পুলকে ৷


জাগে ভালবাসা মগ্নলগনে সমবেদনে ৷
ভুলেরা নত শিরে সব ,পরমেরও বিশ্বাসে ৷
হয়েছি আজ এক বুনো হিরামন,
আত্ন চিন্তন আর অন্দরে কতক্ষণ ৷


স্বার্থরা লুটিল পরেরও হিতে ,
নিজেরও চিন্তনের অচিনে ৷
নমস্তে নুয়ে আসে অহম ৷
পরম শ্রদ্ধায় বুচিত কদম ৷


দুঃখের ভাগে হল সকলে ভাগী ৷
সুখেরও তরে সুখি সকলি ৷
হে পুলকিত অনাদি শাশ্বত !
সসীম হল তোমারি পদানত ৷


সততা ভেঙেছে,স্বার্থের দ্বার আক্রোশে ৷
আলোকিত লক্ষ্য জ্বলে মঙ্গল প্রদীপে ৷
হে বিশাল, মোরে আকাশ ছুঁতে দিওনা !
হে কম্পিত বদন,দূর্বার মত পদদলিত হয়োনা !


আর লজ্জাবতী লতা নয় হীনতায়,
রাখি হাতে-হাত শঙ্কার আকুলতায় ৷
সৌহার্দ্য শুক্তিতে গাঁথি স্বর্গ মালা ৷
রিক্ত নিঃসঙ্গে বহিবে প্রশান্ত ধারা ৷


ফেরাও চোখ এবার,নয় ইডেনে !
চলেছি আমি রাঙামাটির পথে,
ছায়া ঢাকা বিহঙ্গ কুজনে
খুঁজি নিজেরে তৃৃৃৃতীয় নয়ণে,পরেরও সনে ৷


(কবিতাটিতে বিপুলা নিসর্গের দর্শণে মানুষের মনে
যে উদারতার ভাব জাগ্রত হয় ,সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ৷)