বিশ্বাসের অন্দরে অলৌকিক মর্মে
আত্মা পূর্ণতায় মুক পরমাত্মার দর্শনে ৷
শয়নে-স্বপনে যপ তারি ডাকে ৷
ঐশীর ইশারায় কথা-তাল-সুরে
সকল বিশ্বাস মিলেছে তারের টংকারে ৷
সাঁইজির কালামে মূর্ছিত প্রাণ
সীমাহীন অনন্তের রহস্যে ৷
জীবনের দৃৃৃৃৃষ্টিরা বহমান স্রোতে,
কথারা সব মানে হারায় ভাবে ৷
প্রতিদানহীন প্রেমের আকুলতায়
দৈন্য-প্রবর্ত মিলে এক রাগে ৷
অস্থায়ী চড়া,অন্তরায় তাড়া,
উদাসী সমাপ্তির অপ্রাপ্তির বিষাদে
ফিরে আসে বারবার শেষের কথামালা,
অন্তরে যজবার কম্পিত স্বরে ৷
মাটির গন্ধ মাখা শিকড়ের ভাষা
যে লালিত আজ আগামীর কন্ঠে,
মিশে আছে যেথায় সত্যের আলো ৷
কে দিল বহ্নি উদার সৃৃৃৃৃষ্টিতে ?
নিষ্পাপ জমিনের আখ্যান
পুড়ে হল খান-খান ৷
বেলা শেষে খাঁচা ছাড়ে পাখি,
মুছে যায় গানের কথা দগ্ধ ছাইপাশে ৷
সৃৃৃৃষ্টির উপাস্য ভক্তির সাধনা
মিলিয়ে গেছে যখন জন হতে জনের
অস্তিত্বের গহিনে রক্ত রক্ষনের আগল ভেঙে ৷
ভূসা মাখা কালো মুখে প্রতিবাদে
সেঁদেছে গলা,তুলেছে সুরলহরী
অগনন সত্যসুন্দরের পূজারী ৷
আত্মা ছাড়া গতর হারিয়েছে
যখন সুখের খোঁজ ভ্রষ্ট আক্রোশে ৷


(কবিতাটি বাউল তত্ব,বাউল গান,সামপ্রতিক ধর্মান্ধ
মৌলবাদি গোষ্ঠী কর্তৃৃৃৃক বাউলদের উপর আক্রমনের
প্রতিবাদে রচিত ৷)