আকাঙ্খার   হিসাব হারায় যখন প্রাপ্তিরও পরিমিতি,
বিলজেবাবেরও  অতৃপ্তি  গিলে খায়  ভাগের ফাঁকি ৷
সারমেয় জীবন দেখে  পতিত হাড়ের স্বপ্ন ভাগাড়ে ;
মরিচা ধরায় হতাশা গাঁইতি-কোদালেরও আলস্যে ৷


আলোক   হারা   বশ্যতায়  নির্বাক  প্রতারিত  মুখ ৷
পায়না  নাগাল  শুধু  কড়া  পড়া হাত হলুদিয়া সুখ ৷
মাপে বিত্ত কৃষ্ণ ডালিয়া  তব হর্ষক্ষেরও বাটখারায় ৷
ফুটে খুমঅর্কিড আসমানী ছোঁয়ায় ঘর্মগন্ধি মৃত্তিকায়৷


নার্গলেরও অভিশাপে প্রাণরস চুষে  পীড়ারও কীড়া ৷
পরধনে রেখচিত্রেরও উলম্ফন রচে গ্রিজলির কিচ্ছা৷
মেঘ ফাঁড়া  কান্নায় ভাসে সর্প-মুষিক একি স্রোতে ;
কৃপনা হলে তুমি অন্নপূর্ণা তবে অংশুমালীরও রোষে!


হানা  দেয়  যখন  পঙ্গপালেরও  ঝাঁক যবের শীষে ৷
লুকায় পাথার বাদামী দীর্ঘশ্বাস কুজ্ঝটিকারও অক্ষে ৷
বুভুক্ষু মকর প্রসিল যবে কমল সলিলেরও  আঁতুড় ;
যমদূতের গদা থেতলে তব রোদে তামাটিয়ার শীর!


ভাগশেষেরও দধিচ পেতেছে হাত মুৎসুদ্দীরও যক্ষে;
বিস্মৃতি খুঁজে রঙিন  মোদক মুষ্ঠি পান্তারো গাঁজনে ৷
বুনেছে জাল ঊর্ণনাভ তব মুক্ত প্রজাপতিরও ঈর্ষায় ;
চন্দ্রমল্লিকা যতি প্রজন্মান্তরে অদৃষ্টের অসমাপিকায়৷