হায় কৃষ্ণকন্টি!চলছিত-চলছি ঐ উদয়ের পানে ৷
ঝরে গেছে যে লিলি!থাক না হয় পিছনে পড়ে ৷
আবেগের অন্ধ জেরা,হিংস্রতার ধারাল ছোরা!
পিশাচে হত হৃদয় যেন;তরমুজটা ফালা-ফালা!
অন্দরে সদা প্রশ্নরা সব অনধিকারে ৷
তবুও এঁকেছি ভালবাসা শূণ্যতারও বালুচরে ৷
দুঃস্বপ্নেরও দমকা বাতাসে আশার প্রদীপটা নিভু-নিভু!
কাঁদে মৃত রাতে;ডানা ভাঙা পাপিয়া জনম দুঃখী!
আঙুলে তব কাঁটার আঘাত,শঙ্কা জাগায় রক্ত গোলাপ!
অসমাপ্তিতেই যবনিকাপাত;ধূসর হল বসন্তের গুলবাগ!
আমারি কালো,তোমারি আলোতে অদেখারা দেয়
জবানবন্দি ৷
চেয়ে দেখি দুই চোখ মেলে,রক্ত-মাংসহীন হাত
ধরেছে সূর্যমুখী ৷
হতাশাগুলো অগ্রাসী বিছুটি!মুছে গেছে মুখেরও হাসি!
ললাটের কষ্টদের লেখি,আর পাতা ছিড়ে ছুড়ে ফেলি!
কলঙ্কিত কর্কট অতীত যখন শুধুই খুঁজে সুখ মাদকেতে!
উত্তরহীন প্রতিক্ষার পুত্তলি ফেঁড়ে;রঙিন তিথলি
পাখা মেলে ৷
উড়ে গেছে খাঁচার পাখি,আমার মাঝে বিলীন আমি ৷
পেছনে ডাকিছে কুহকিনী,সত্যরা যে স্বপ্নচারী ৷
মনটা যখন ভাঙা ফুলদানী,মুক্তি দিলেম তোমায়
আত্নগ্লানি ৷
হৃদয়ও মাজারে পুঁতেছি ব্যথা;গাইবে যে আবার
নীল পাখিটি ৷